‘মার্চ ফর ইউনিটিতে’ অংশ নিলেন দলিত-হরিজন-হিজড়া জনগোষ্ঠীরাও
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটিতে’ যোগ দিতে দেখা গেছে হিজড়া জনগোষ্ঠী ও দলিত-হরিজন জনগোষ্ঠীদের মানুষদেরও। ‘বৈষম্যবিরোধী হিজড়া জনগোষ্ঠী’ এবং ‘দলিত-হরিজন-তফসিলি জনজাতি পরিষদ’-এর ব্যানারে তারা অংশ নেন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বস্তরের ছাত্রজনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
দলিত হরিজনদের কথা বলে জানা যায়, তাদের কমিউনিটির ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু এবং কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য হয়েছেন। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আরেক সদস্য মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক আহসান।
জানতে চাইলে ডেভিড রাজু সমকালকে বলেন, আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করেছে কিন্তু তারা আমাদের সাথে রাখেনি। কেউই আমাদের অংশগ্রহণ দরকার মনে করেনি। ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা বা বন্দোবস্ত বলেন, এই প্রথমবার পিছিয়ে পড়া দলিত জনগোষ্ঠী থেকে আমাদের দুজনকে নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সংবিধানে আমাদের কোনো কথা নেই। আমাদের দেড় কোটি জনগোষ্ঠীর কোনো স্বীকৃতি সংবিধানে নেই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন করে সংবিধান পুনর্লিখনের কথা বলছে। তাই আজকে আমরা তাদের সঙ্গে সংহতি জানাতে এসেছি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মোল্লা ফারুক আহসান শুভ্র বলেন, ‘বাংলাদেশের দলিত হরিজন ১৯৪৬ সালে ব্রাহ্মণ্যবাদ থেকে বাঁচার জন্য ভোট দিয়ে পাকিস্তানে যোগদান করে। কিন্তু আমরা তাদেরকে কখনও মূল্যায়ন করতে পারিনি। আমরা তাদেরকে একেবারে প্রান্তিক করে রেখেছি। তাদের ৮৭ জনগোষ্ঠীর ১ কোটি ১০ লাখ লোক গত ৫৩ বছরে আওয়ামীলীগের ভোটব্যাংক হয়ে ভোট দিছে আর কিছুই পায়নি। আমরা চেষ্টা করেছি এই নিম্নবর্গের মানুষগুলোকে যদি মূলধারায় যুক্ত করা যায়।’
তিনি বলেন, অনেক আগে থেকেই আমি এই জনগোষ্ঠীদের নিয়ে কাজ করি। ২০১৫ সালে আমি চুয়াডাঙ্গায় হরিজনদের নিয়ে বিজয় দিবসে মিছিল করেছিলাম।
ফারুক আহসান বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা আমাদের মূল লক্ষ্য; যে মানবিক মর্যাদার জন্য বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমরা কখনও মানবিক মর্যাদার নিশ্চিত করতে পারিনি। এই জনগোষ্ঠীর কথা মূলধারায় কখনও আসেনি; মূলত তাদেরকে নিম্নবর্গের করে, প্রান্তিক করে রাখা হয়েছে। সে জায়গায় তাদেরকে যুক্ত করতে পারা আমার জন্য আনন্দের, এটিকে আমি নাগরিক কমিটির সফলতা বলে মনে করি।’
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com