ঢাকা, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Banglar Alo

বাইডেনের শান্তিপূর্ণ প্রস্থানে বিপাকে কর্তৃত্ববাদী শাসকরা

Publish : 07:27 AM, 26 July 2024.
বাইডেনের শান্তিপূর্ণ প্রস্থানে বিপাকে কর্তৃত্ববাদী শাসকরা

বাইডেনের শান্তিপূর্ণ প্রস্থানে বিপাকে কর্তৃত্ববাদী শাসকরা

আন্তর্জাতিক :

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এ বিষয়টি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের শি জিনপিং ও সৌদি আরবের মোহাম্মদ বিন সালমানের মতো স্বৈরশাসকদের জন্য সংকট তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 

স্টিমসন সেন্টার থিঙ্ক ট্যাঙ্কের অন্যতম শীর্ষ বিশ্লেষক ম্যাথু বারোজ বলেন, পুতিন, জিনপিং ও সালমানের মতো নেতাদের সর্বোচ্চ লক্ষ্যই হলো মৃত্যু অবধি ক্ষমতায় টিকে থাকা। অথচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বাইডেনের আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত প্রস্থান একটি প্রাসাদ অভ্যুত্থানের মতো ঘটনা। যদিও এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছিল উদারপন্থি সংবাদমাধ্যমগুলো। 

বাইডেনের বার্ধক্যজনিত সমস্যার মতো বিষয়গুলো নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোর সম্পাদকীয়, মতামত ও প্রতিবেদন তাঁকে সরে যেতে উৎসাহিত করেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তটি ছিল ২৭ জুন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্ক। সিএনএনের ওই বিতর্ক একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল। সেখানে ট্রাম্পের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার পর বাইডেনের প্রার্থিতা আর পুনরুদ্ধার হয়নি। অথচ স্বৈরাচারী শাসকরা তাদের দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোকে ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়। সেখানে তারা বার্ধক্যের মতো খুবই ব্যক্তিগত প্রসঙ্গগুলো তুলে ধরার সুযোগ দেন না। 

বারোজ মনে করেন, বাইডেনের প্রস্থান পর্যবেক্ষণ করা স্বৈরাচারীরা এখন আরও বুঝতে পারছেন, তারা তাদের সমাজে মুক্ত সংবাদমাধ্যম সহ্য করতে পারেন না। 

বাইডেনের বিদায়কে পুতিন ও জিনপিং যুক্তরাষ্ট্র এবং পুরো পশ্চিমা ব্যবস্থার আরও পতন হিসেবে দেখাতে চাইবেন। তাদের এই বয়ান তাদের দেশের কোনো গণমাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করা হবে না। 

বিশেষজ্ঞ ফাওয়াজ গারজেসও বারোজের সঙ্গে একমত। তিনি মনে করেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মতো একজন শাসক বেঁচে থাকাকালে অন্য একজনের ক্ষমতা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক গারজেস বলেছেন, তাদের মূলমন্ত্র হলো, মৃত্যু পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকা। 

থিঙ্ক ট্যাঙ্ক র‍্যান্ড করপোরেশনের রাজনৈতিক গবেষক অ্যান ম্যারি ডেইলিও পুতিনের রাশিয়া সম্পর্কে একই ধরনের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, একজন নেতা পদত্যাগ করে বলেছেন, এটি গণতন্ত্রের জন্য আরও মঙ্গলজনক। স্পষ্টতই এ ধরনের বার্তা রাশিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার করতে চায় না ক্রেমলিন। কারণ, তখন জনগণের মধ্যেও কানাঘুষা শুরু হবে, তাদের নিজের নেতারা বার্ধক্যে পৌঁছে যাওয়া সত্ত্বেও কেন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন না। 

৭১ বছর বয়সী পুতিন ২০০০ সাল থেকে টানা রাশিয়া শাসন করছেন। বাইডেনের বিষয়টি রাশিয়া সরকার তার জনগণের কাছে এভাবে উপস্থাপন করবে, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র অগোছালো এবং অস্থিতিশীল। এজন্যই সেখানে এমন ঘটনা ঘটেছে। 

Banglar Alo

সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড

৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০

নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]

©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com

Develop by _ DigitalSolutions.Ltd
শিরোনাম দেশে ফিরলেন আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৩ বাংলাদেশি শিরোনাম চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে শাহবাগ অবরোধ শিরোনাম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্থায়ী রূপ চায় বিএনপি: মির্জা ফখরুল শিরোনাম টাকা ছাপিয়ে এক্সিমকে হাজার কোটি টাকা বিশেষ ধার শিরোনাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম শিরোনাম ব্যাংক থেকে যত খুশি তোলা যাবে নগদ টাকা