ছবিঃ সংগৃহীত
মাত্র ১৭তম জন্মদিন হলো, এখনও শিশু! কৈশোরে পা রাখার আগেই বিশ্ব জুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনার একাডেমি থেকে উঠে আসা ফরোয়ার্ড স্পেনের হয়ে জাদু দেখিয়ে যাচ্ছেন। বাঁ পায়ের কারুকার্যে গোটা বিশ্বের ফুটবলমোদীরা মুগ্ধ। কেউ কেউ তো বলছেন মেসির বিকল্প চলে এসেছেন! গিনি ও মরক্কোর বংশোদ্ভুত ফুটবলারকে নিয়ে যে যা বলুন না কেন, আজ তার বড় পরীক্ষা। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে হলে স্পেনকে দারুণ পারফর্ম করে দেখাতে হবে। আর তাই অন্যদের পাশাপাশি ইয়ামালের ওপর বড় ভরসা রাখতে হচ্ছে।
আগের ম্যাচে সেমিফাইনালে ইয়ামালের গোলে স্পেন ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। আজ বার্লিনে নিশ্চয়ই তার বাঁ পায়ের জাদুর দিকে তাকিয়ে থাকবে গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে বিশ্বের তাবৎ ফুটবলবোদ্ধা কিংবা সাবেক তারকাদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়ে গেছেন ইয়ামাল। তাই আজ ফাইনালে তেমন কিছু করে দেখাতে পারলে নতুন করে আগমনী ধ্বনি শোনা যাবে।
স্পেন যেমন তার ওপর ভরসা করছে, তেমনই ইংল্যান্ডের কিন্তু তার দিকে শ্যেন দৃষ্টি। কীভাবে ইয়ামালকে আটকাবে নিশ্চয়ই সাউথগেট চিন্তা করে রেখেছেন। অনুশীলনে আগে থেকে শিষ্যদের নিয়ে মহড়া দিয়েছেন কোচ। দুই দলে এত তারকা। মহারণে তাই আগুন-বারুদে ম্যাচ আখ্যা দিচ্ছেন সবাই। সেখানে সর্বকনিষ্ঠ ইয়ামাল বাঁ পায়ের কাজ কতটুকু দেখাতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
প্রশ্ন যতই থাকুন না কেন, ফুটবল প্রতিভার দিক দিয়ে ইয়ামালের যে তুলনা নেই, তা ইউরোর আগের ম্যাচগুলো থেকে বেশ পরিষ্কার। বার্সেলোনার বি টিম থেকে জাভি কেন মূল দলে নিয়ে এসে ভুল করেননি, তা নতুন করে প্রমাণ হয়েছে। আর এবার ইউরোর কারণে সবাই নতুন করে দেখলো এক বাচ্চা ছেলের কীর্তি।
বাংলাদেশের সাবেক ইংলিশ কোচ জেমি ডে লন্ডনে বসে ইয়ামালের প্রশংসা করেছেন। তবে আজ চাইছেন ইংল্যান্ড জিতুক। ১৯৬৬ সালের পর আর কখনও যে দলটি বড় কোনও ট্রফি জিততে পারেনি। তবে কাজটি যে কঠিন। তা বলতে দ্বিধা করেননি। সেই সঙ্গে ইয়ামালের মতো তরুণ প্রতিভাকে আটকাতে উদার হস্তে ইংলিশ ডিফেন্ডারদের আহবান জানিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘ইয়ামাল উঠতি প্রতিভা। ইউরোতে ভালো করছে। নিজের প্রতিভা চিনিয়ে যাচ্ছে। আজ ফাইনালে ও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। এই জন্য ইংল্যান্ডকে সতর্ক থাকতে হবে। শুধু ও একাই নয়, পুরো স্পেন দারুণ ফর্মে আছে। ওরা যেভাবে খেলছে, তাতে করে একজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করছে না ফল। তাই ইংলিশদের জিততে হলে সপ্রতিভ পারফরম্যান্স লাগবে। এবার মনে হয় ফাইনালে উঠে সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না।’
ইয়ামালকে হয়তো পুরো ম্যাচেই মানে ৯০ মিনিটের খেলায় দেখা যাবে। কিন্তু ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে ওই ৩০ মিনিট খেলতে পারবেন না। সেখানে জার্মানির শিশুশ্রম আইন অনুযায়ী খেলোয়াড় হিসেবে রাত ১১টার পর খেলতে পারবেন না এই উইঙ্গার। তবে জরিমানা দিয়ে খেলার সুযোগ আছে। স্পেন হয়তো সেই ঝুঁকি নেবে না।
আর ঝুঁকিতে না থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ম্যাচ জিততে হলে গোল করতে হবে। থাকতে হবে এগিয়ে। ইউরোর সফল দলটির সামনে তাই নতুন চ্যালেঞ্জ। ইয়ামালদের নিয়ে অন্যরা যদি তা সার্থক করতে পারে তাহলে নতুন দ্বিগন্তের উন্মোচন হবে।
নিশ্চয়ই ইয়ামাল ১৭ বছর বয়সে মগজে সবকিছু গেঁথে নিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ধুন্ধুমার এক ফাইনালে জয়ের নায়ক হতে পারলে চির স্মরণীয় হয়ে থাকার সুযোগ নিশ্চয়ই হাতছাড়া করতে চাইবেন না!
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com