ফ্রান্সকে কাঁদিয়ে ফাইনালে স্পেন
সেমিফাইনালে ম্যাচের ৯ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের সহায়তায় ফ্রান্সের হয়ে গোল করেন কোলো মুয়ানি। ফলে ফ্রান্সের গোলে চাপে পড়ে স্পেন। তবে ১-০ লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলো না ফরাসিরা। লামিন ইয়ামালের রেকর্ড গড়া গোলেই পিছিয়ে থাকা স্পেন ফেরে সমতায়।
এরপর দারুণ এক গোলে স্পেনের হয়ে ব্যবধান ২–১ করেন দানি অলমো। যা চেষ্টা করেও আর বদলাতে পারেনি এমবাপ্পের ফ্রান্স। ফলে ২–১ গোলের জয়েই এক যুগ পর ইউরোর ফাইনাল নিশ্চিত করলো স্পেন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় নাক ভাঙার পর আজ প্রথমবারের মতো মাস্ক ছাড়াই খেলতে নেমেছিলেন ফ্রান্স অধিনায়ক। শুরুতে দলকে এগিয়ে দেওয়া গোলের নির্মাতাও ছিলেন তিনি। তবে স্পেনের অসাধারণ ফুটবলের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করলো ফরাসিরা।
ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেইপ্রেসিং, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের জমে উঠে খেলা। স্পেনের আক্রমণে শেষ হতে না হতেই ফ্রান্সের আক্রমণ।
ম্যাচের ৫ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত স্পেন। তবে ইয়ামালের দারুণ এক ক্রসকে কাজে লাগাতে পারেননি ফাবিয়ান রুইজ। তার হেড চলে যায় বারের ওপর দিয়ে। পাল্টা আক্রমণে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন ডিফেন্ডার জেসুস নাভাস।
দেম্বেলের কাছ থেকে বল পেয়ে নাভাসের মার্কিংয় এড়িয়েই এমবাপ্পে অসাধারণ একটি ক্রসে বল বাড়ান কোলো মুয়ানির উদ্দেশে। হেডে গোল করেন এই স্ট্রাইকার। পুরো টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত এটিই ছিল ওপেন প্লেতে (ফ্রি–কিক, পেনাল্টি, আত্মঘাতী নয় এমন গোল) করা ফ্রান্সের প্রথম গোল।
গোল খেয়ে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্পেন। ২১ মিনিটে দেখা মিলে বহুল প্রতীক্ষিত ইয়ামালের গোল। ২৫ মিটার দূর থেকেই চার ডিফেন্ডারকে হতভম্ব করে অবিশ্বাস্য এক শটে বাঁ পাশের ওপরের কোনা দিয়ে বল জালে জড়ান ইয়ামাল।
সমতাও ফিরিয়েও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখে স্পেন। যা ২৫ মিনিটে তাদের এনে দেয় নিজেদের দ্বিতীয় গোলটিও। দুর্দান্ত এক আক্রমণে নাভাসের শট প্রতিহত হয়। ফিরতি বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নেন ওলমো। যা ইউলেস কুন্দের গায়ে জালে জড়ালে ২–১ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com