কলেজছাত্র হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি ৪৯৯, শেখ হাসিনা নির্দেশদাতা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যা ও একটি হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিদায়ী ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ এ তথ্য দিয়েছেন।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপু, সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতা, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, একেএম আসাদুর রহমান ও সাগর কুমার রায়, কোষাধ্যক্ষ মাছুদুর রহমান মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত আলম ঝুনু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হাসান ববি, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান আকন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফী হিরো, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, পৌর কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা আবদুল মতিন সরকার, পৌর কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা আলহাজ্ব শেখ, পৌর কাউন্সিলর আরিফুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহীম হোসেন, যুবলীগ নেতা জাকারিয়া আদিল, শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার, ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজ আহম্মেদ, বেনজীর আহম্মেদ প্রমুখ।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে বগুড়া শহরের বড়গোলা ঝাউতলা এলাকায় যান। এ সময় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে ৪-৭নং আসামির নেতৃত্বে অন্যরা পেট্রল বোমা, ককটেল, পিস্তল, কাটা রাইফেল নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আসামিরা ককটেল বিস্ফোরণ করেন। ৩৮নং আসামি আল রাজি জুয়েল আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বাদীকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে বাদী পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। ২২নং আসামি জাকারিয়া আদিল শটগান দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। বাদী সরে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আসামিরা পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ কলেজ ছাত্র শাওন ইসলামকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১২ আগস্ট তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে বাদী তার বাবার মাধ্যমে সদর থানায় এজাহার পাঠিয়ে দেন।
সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com