খেলা নেই, গ্রামেই থাকছেন মেয়েরা
দুই মাস হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা সাফের ট্রফি জিতেছেন। ৩১ অক্টোবর ছাদ খোলা বাসে সাবিনা খাতুন-ঋতুপর্ণা চাকমাদের দেওয়া হয় রাজকীয় সংবর্ধনা। নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মেয়েদের আর্থিক পুরস্কার তুলে দিলেও বাফুফে নিজেদের ঘোষিত দেড় কোটি টাকা এখনও দেয়নি। শুধু তাই নয়, খেলা না থাকায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে জাতীয় দলের নারী ফুটবলাররা পড়ে আছেন গ্রামে। ফিটনেস নিয়ে শঙ্কিত মেয়েরা।
ফেব্রুয়ারিতে ফিফা উইন্ডোতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো দলের সঙ্গে কথা পাকাপাকি করতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। অথচ ২ জানুয়ারি বেঙ্গালুরুতে ভারতের মেয়েরা মালদ্বীপের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলেছেন। তাদের চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে নেপাল। যাদের হারিয়ে বাংলাদেশ নারী দল দ্বিতীয়বারের মতো সাফের শিরোপা জিতেছিল, সেই হিমালয়ের দেশটি নিজ আঙিনায় আয়োজন করছে চার জাতি টুর্নামেন্ট। ১৭-২৬ ফেব্রুয়ারি কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে কিরগিজস্তান, লেবানন, মিয়ানমার ও স্বাগতিক নেপালকে নিয়ে হবে এ টুর্নামেন্ট।
যেন ২০২২ সালের পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশের নারী ফুটবলে। দুই বছরেরও বেশি সময় আগে নেপাল থেকে সাফ জেতার পর সাবিনা খাতুনদের বড় বড় স্বপ্ন দেখালেও বাস্তবে পূরণ করেনি ফেডারেশন। মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাই খেলতে পাঠানো হয়নি। এই প্রতিযোগিতার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে বাফুফের পাঠানো বাজেট নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। মাসের বেতন মাসে না পাওয়ার সঙ্গে ম্যাচ খেলার ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও সাফের শিরোপা ধরে রাখেন মেয়েরা। এবারও যেন ঘুমের মধ্যেই কাটছে বাফুফের নবনির্বাচিত কমিটির কর্তাদের। মেয়েদের নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা শুধু মুখেই বলে যাচ্ছেন তারা, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র।
পর পর দুটি সাফে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ভারত, টানা দু’বার বাংলাদেশের কাছে হেরে স্বপ্নভাঙা নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন যেখানে মেয়েদের ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করেছে, বাফুফে নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ সেখানে নানা অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন। প্রথমে সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার কথা বলেছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে জানান, মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি ‘না’ বলে দিয়েছে। এখন মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের দিকে ঝুঁকছেন তারা। দুটির একটি রাজি হলে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় কিংবা সিলেটে হবে ম্যাচ।
ফিফা উইন্ডোতে প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হয়নি বলে জাতীয় নারী ফুটবলারদের ডাকা হয়নি ক্যাম্পে। এটা নিয়ে সোমবার সমকালের কাছে হতাশা প্রকাশ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী ফুটবলার, ‘প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভারত খেলছে। এই দিক দিয়ে আমরা পিছিয়ে। অবশ্যই এটা ফেডারেশনের ভেবে দেখা উচিত।’
আক্ষেপের সঙ্গে ফিটনেস নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি, ‘এই মাসের মধ্যে ক্যাম্পে ডাকবে বলে জানিয়েছিল আমাদের। কবে ডাকবে তার কোনো খবর নেই। আমরা বাসায় ছুটিতে গেলে কেউ ট্রেনিং করি না। কারণ সেখানে মাঠ নেই। যে কারণে আমাদের ফিটনেস লেভেলটাও কমে যাচ্ছে। ঢাকায় ক্যাম্পে থাকলে ফিটনেস ঠিক থাকে আমাদের।’ এ প্রসঙ্গে জানতে ফোন দিলেও তা রিসিভ করেননি নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান কিরণ।
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com