নিঝুম মজুমদারকে হারপিক দেখানো নিয়ে যা জানালেন সাইয়েদ আব্দুল্লাহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ। সমাজের নানা অসঙ্গতি ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এবং বিভিন্ন সময়ে টকশোতে এসে স্পষ্ট ভাষায় কথা বলে ধীরে ধীরে একটা শ্রেণীর মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার একটি টকশোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে আওয়ামী পন্থী ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদারকে ইঙ্গিত করে সাইয়েদ আব্দুল্লাহ হারপিক তুলে প্রদর্শন করেন। আর এটা নিয়েই সামাজিক মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এবার নিঝুম মজুমদারকে হারপিক দেখানোর কারণ জানালেন আব্দুল্লাহ।
জানা গেছে, একটি অনলাইন টকশোকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার জন্ম হয়েছে। ওই টকশোতে ছিলেন- পলিটিকা টিভির তানভীর আহমেদ, কাজী ওমর, ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার ও সাইয়েদ আবদুল্লাহ।
টকশোতে আলোচকদের তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদারকে হারপিক দেখান সাইয়েদ আবদুল্লাহ। বিষয়টি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
কিন্তু কি কারণে সাইয়েদ আবদুল্লাহ নিঝুম মজুমদারকে হারপিক দেখালেন- এমন প্রশ্ন ছিল অনেকের।
বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর সাইয়েদ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন, সেখানে তিনি নিঝুম মজুমদারকে হারপিক দেখানোর কনটেক্সট জানান। তার ওই পোস্টে ২০২০ সালে ভাইরাল হওয়া একটি পোস্ট শেয়ার করেন তিনি। যেখানে নিঝুম মজুমদারের সঙ্গে তার কথিত প্রেমিকার ফোনালাপের সময় হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার ঘটনা তুলে ধরেন। ওই ঘটনার পর থেকেই তাকে কটাক্ষ করে ‘হারপিক মজুমদার’ নামে অবিহিত করে থাকেন নেটিজেনরা।
এবার দেশের এক টেলিভিশন টকশোতে নতুন করে বিষয়টি সম্পর্কে বলেন সাইয়েদ আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি যারা দীর্ঘ দিন ধরে ফলো করেন, নিঝুম মজুমদারের মত এমন ধূর্ত, প্রপাগাণ্ডা ছাড়ানো ব্যক্তিকে চিনবে না এটা হতে পারেনা। ছাত্রলীগ যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলেছিল সে (নিঝুম মজুমদার) তখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে- “ধুপধাপ ধুপধাপের আওয়াজ আসছে। চমৎকার!” এবং একটা ভোটবিহীন অবৈধ শেখ হাসিনার রেজিমকে সে ক্রমাগত নির্লজ্জভাবে ডিফেন করে যেতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘টকশোতে তিনি অনেক খারাপ কথা বলেছেন কিন্তু আমি তখন চুপ ছিলাম। আমি যখন কথা বলা শুরু করেছি সাথে সাথে তিনি কথা বলা শুরু করেন। ক্রমাগতভাবে আক্রম করে কথা বলছিলেন। যদিও আমি তার চরিত্র সম্পর্কে আগে থেকেই জানি। তাই যেমন কুকুর তার জন্য তেমন মুগুর রাখতে হয়। আমি শুধু একটা হারপিক প্রদর্শন করেছি। তাতেই সে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো। এ থেকেই বোঝা যায় তার সঙ্গে হারপিকের কোন অতীত স্মৃতি জড়িয়ে আছে।’
প্রসঙ্গত, নিঝুম মজুমদারকে নেটাগরিকরা অতি ধূর্ত, গালিবাজ, ঝগড়াটে, আওয়ামী দালাল, মিথ্যাবাদী, নাস্তিক, চেতনাবাজ হিসেবেই জানেন। পতিত স্বৈরাচারের অপকর্মের দালালি করায় নিঝুম মজুমদারকে হারপিক দেখিয়ে যথাযথ জবাব দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।
আবার নেটিজেনদের অনেকেই বলছেন, তর্কের খাতিরে তর্ক করতে হবে, এটা ব্যক্তি আক্রমণ।
উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী অভিযোগটি দায়ের করলেও ব্যারিস্টার ও সলিসিটর নিঝুম মজুমদার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়টি জানান। এরপর থেকেই নেটিজেনরা নিঝুম মজুমদারকে কটাক্ষ করে ‘হারপিক মজুমদার’ নামে অবিহিত করছেন। যে লাইভ টকশোতে নিঝুমকে হারপিক দেখানো হয়, সেখানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছিল।
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com