ঢাকা, ২২ অক্টোবর, ২০২৪
Banglar Alo

প্রতিবন্ধী হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স, অর্থের অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত মিনারার

Publish : 10:32 AM, 21 October 2024.
প্রতিবন্ধী হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স, অর্থের অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত মিনারার

প্রতিবন্ধী হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স, অর্থের অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত মিনারার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) হাতের কবজির সাহায্যে লিখে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন মিনারা। কিন্তু টাকার অভাবে ভেস্তে যেতে বসেছে মেধাবী শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী মিনারা খাতুনের শৈশবকালের ইচ্ছা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং পরের কয়েক বছর পড়ার খরচ জোগানোই এখন তার মূল চিন্তা।

জন্ম থেকেই দুই হাতের আঙুল নেই মিনারার। তবুও অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে হাতের কবজির সাহায্যে লিখতে শেখেন তিনি।

মিনারা খাতুন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কাঁচকোল দক্ষিণ বাঁধ এলাকার দিনমজুর মো. রফিকুল ইসলাম ও মৃত মর্জিনা বেগমের মেয়ে। দুই বোনের মধ্যে মিনারা ছোট।

জীবন যুদ্ধে হারতে নারাজ মিনারা। দুই হাতের আঙুল না থাকলেও, কবজির সাহায্যে লিখেই তিনি একে একে পিইসি, জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় পাস করেন। পরে কারমাইকেল কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হন। গত ২০২২ সালে কারমাইকেল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে হিসাববিজ্ঞানে অনার্সে ভর্তি হন। এবারে দ্বিতীয় বারের মতো রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পান মিনারা।

ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েও শুধু অর্থাভাবে স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ বেরোবিতে ভর্তি হতে পারছেন না মিনারা।

এদিকে আজ সোমবার বেরোবিতে ভর্তির শেষ দিন। শেষ সময় ঘনিয়ে এলেও ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগান দিতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে মিনারার পরিবার।

মায়ের মৃত্যুর পর সাতবার নদীতে বাড়িভাঙনের শিকার বাবা রফিকুল ইসলাম মিনারার খালাকে বিয়ে করেন। শারীরিকভাবে মিনারা স্বাভাবিক থাকলেও তার দুহাতে কোনো আঙুল নেই। দুই হাতের কবজির সাহায্যে কলম ধরে তিনি পড়ালেখা চালিয়ে আসছেন।

বাবা রফিকুল ইসলাম দিনমজুর। অভাবের সংসার তার। নুন আনতে পানতা ফুরায়। নদী ভেঙে পাউবো বাঁধে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ পাউবো বাঁধে আশ্রিতদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরের জায়গায় আশ্রয় নিয়ে কোনো রকমে পরিবার নিয়ে দিনাতিপাত তার।

সমাজসেবা অধিদপ্তর মিনারার নামে মাসিক ৬০০ টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা বরাদ্দ দেয়। এ টাকায় চলত তার পড়ালেখার খরচ।

কুড়িগ্রাম কলেজে আগের ভর্তি বাতিল করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে প্রায় ২০ হাজার টাকার প্রয়োজন। এ ছাড়াও ভর্তি হয়ে শিক্ষাজীবনের বাকি পথ কীভাবে পাড়ি দেবে, তা তার জানা নেই। মিনারার বাবা রফিকুল ইসলাম মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করেছেন। প্রয়োজনে ০১৭০৪-৩১১১৯২ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন।

মিনারা বলেন, ‘ভালো একটা সাবজেক্ট পাইসি, ভালোভাবে পড়াশোনা করে এগিয়ে যেতে চাই। মানুষের মতো মানুষ হতে চাই। ভালো একটা চাকরি করতে চাই।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শওকাত আলী বলেন, ‘আমরা এমন শিক্ষার্থীদের পাশে এর আগেও দাঁড়িয়েছি। মিনারার জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিব।’

Banglar Alo

সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড

৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০

নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]

©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com

Develop by _ DigitalSolutions.Ltd
শিরোনাম হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা : তেল আবিবে জরুরি অবস্থা, বেন গুরিয়নে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ শিরোনাম উপদেষ্টা, সমন্বয়কের প্রতিক্রিয়া শিরোনাম যাত্রাবাড়ীতে ‘জেগে’ আছেন শহীদরা শিরোনাম নির্বাচনের দিন ঠিক করে কাজ-কর্ম শুরু করুন: নীরব শিরোনাম গাজায় স্কুলে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১০ শিরোনাম ব্যারিস্টার সুমন এতদিন কোথায় ছিলেন?