বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় বেরোবির ৯৩ গবেষক
অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ৯৩ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫৯ জন।
আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং সংস্থা ‘অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স’ এ তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বিশ্বের ২১৯টি দেশের ২৪ হাজার ৩৩৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৪ লাখ ১৪০ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পান।
বেরোবি গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু রেজা মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, দ্বিতীয় স্থানে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফেরদৌস রহমান, তৃতীয় স্থানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রোকাইয়া সালাম চতুর্থ স্থানে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান, পঞ্চম স্থানে রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাকিব।
এছাড়াও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাদ্দাম হোসেন, সপ্তম স্থানে রয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মোঃ শাহজাহান, অষ্টম স্থানে রয়েছেন ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, নবম স্থানে ম্যানেজমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল সিস্টেমস বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম ভূইয়া এবং দশম স্থানে রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ হাসানুজ্জামান।
বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় স্থান পাওয়ায় নিজের অনুভূতি জানিয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, এইটি আমাদের জন্য আনন্দের। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় আরও এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা করি। আমাদের বর্তমান উপাচার্য মহোদয় একজন গবেষক মানুষ। আমরা আশা রাখি উনি বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণায় আরও বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শওকাত আলী বলেন, এইটি খুবই খুশির খবর। যারা গবেষণায় শ্রম দিচ্ছে ও কৃতিত্ব রাখছে তাদের স্যালুট জানাই। আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও গবেষণায় অবদান রাখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা গবেষণায় অবদান রাখছে তা নিয়ে সেমিনার আয়োজন করার চেষ্টা করব যাতে অন্যরাও গবেষণায় উদ্ভুদ্ধ হয়।
সংস্থার ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, ইনডেক্সটি (AD Scientific Index) সারাবিশ্বে গবেষণাপত্রের কার্যকারিতা মূল্যায়নের মাধ্যমে ‘এইচ’ এবং ‘আই-১০’ সূচকে এ তালিকা তৈরি করে। এ পদ্ধতির উদ্ভাবক দুই গবেষকের (অধ্যাপক মুরত আলপার এবং চিহান ডজার) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানা যায়।
তাছাড়া সূচকটিতে গবেষকদের বিশ্লেষণ ও বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গণ্য করা হয়। কৃষি ও বনায়ন, কলা নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানসহ মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com