ঢাকা, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Banglar Alo

সহিংসতার ক্ষত সব খাতে

Publish : 07:31 AM, 27 July 2024.
সহিংসতার ক্ষত সব খাতে

সহিংসতার ক্ষত সব খাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে সহিংসতা থেমেছে। ধাপে ধাপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তবে সহিংসতার ক্ষত রয়ে গেছে অর্থনীতি, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি, যোগাযোগ, কৃষিসহ দেশের প্রায় সব খাতে। এর মধ্যে মেট্রোরেল ও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে, সীমিত আকারে চলছে বাস। স্কুল, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ হচ্ছে লেখাপড়ার ক্ষতি। পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় কৃষকের ক্ষেতেই নষ্ট হয়েছে শাকসবজি, আম পেকে নষ্ট হয়েছে গাছেই। প্রশাসনিক কর্মকা- স্থবির। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬ শতাধিক স্থাপনা ও গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হলো শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, পুলিশ, রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ দুই শতাধিক মানুষের প্রাণ ঝরে গেছে। এখনো হাসপাতালে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন কয়েক হাজার আহত ব্যক্তি। হাসপাতালগুলোতে হাত-পা, চোখ হারানো মানুষের আহাজারি থামছে না।

সহিংসতার প্রভাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা লাগায় ভবিষ্যতের শঙ্কায় অনেক শ্রেণি-পেশার মানুষ। এরই মধ্যে নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। অপূরণীয় ক্ষতির মধ্যে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। বিপুল হতাহতের কারণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সহিংসতার প্রভাব দীর্ঘ হবে সামাজিক সম্পর্ক এবং মানুষের মনোজগতেও। চরম মানসিক ট্রমা ও অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে হতাহতদের পরিবারগুলো। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা থেকে শুরু করে মানুষের পারস্পরিক আস্থায় বড় ধরনের ক্ষত তৈরি হয়েছে। সরকার দায়িত্ব নিয়ে যত দ্রুত রাজনৈতিভাবে সংকটের সমাধান করবে, তত তাড়াতাড়ি এই ক্ষত সেরে উঠবে।

তবে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, কোটা আন্দোলন কেন্দ্র করে তৃতীয় পক্ষ সরকারকে হটাতে ধ্বংস ও নৈরাজ্য চালিয়েছে। তারা স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। তারা জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল রাষ্ট্রকে অকার্যকর করা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় নিরীহ মানুষ হত্যার দায় বিএনপি-জামায়াতের। পুলিশ ও সাধারণ মানুষ কোনো হত্যায় অংশ নিতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাস্তায় বেরিয়েছে নিষ্পাপ, নির্বোধ শিশু, কিছুক্ষণ পর দেখা গেল সেও লাশ হয়ে পড়েছিল। আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপানো হয়েছে। প্রতিটি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের সময়কে বলেন, সরকার থেকে বলা হচ্ছে, তৃতীয় পক্ষ আন্দোলনে ঢুকে পড়ে এবং তারাই গুলি করেছে। এই তৃতীয় পক্ষকে আরও পরিষ্কার করে নিয়ে আসা উচিত। প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে যে এটার পেছনে সরকার জড়িত নয়। এই জিনিস যত তাড়াতাড়ি পরিষ্কার করতে পারবে, তত দ্রুত সংকট থেকে উত্তরণ ঘটবে। তিনি বলেন, বহির্বিশ^ বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট পাচ্ছে। বহির্বিশে^র সমালোচনাকে না দেখে, বরং দেশের ভেতরে ন্যায় প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নিতে হবে।

সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক আমাদের সময়কে বলেন, টেকসই গণতন্ত্রের অভাবে বিভিন্ন ইস্যুতে সুযোগসন্ধানীরা সহিংসতার সুযোগ পায়। এতে বড় ক্ষতি হয় দেশের এবং দেশের মানুষের। এখন সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব সংকটের সমাধান করা।

সংকটের অর্থনীতিতে ধাক্কা : দেশের অর্থনীতিতে বিদ্যমান নানা সংকটের মধ্যেই সাম্প্রতিক সহিংসতা সংকট আরও বাড়াবে। বিভিন্ন দপ্তরের হিসাব বলছে, টানা পাঁচ দিনের অস্থিতিশীলতায় বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতিদিন প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে। কারফিউ শিথিলের সময় অফিস-আদালত খুললেও প্রথম দিনের হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ কমে দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়। পাঁচ দিনে শুধু রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পেই ৮ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখনো নানা শঙ্কায় আছে পোশাকশিল্প। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চা, চিংড়িসহ রপ্তানিমুখী সব শিল্পে। দোকানপাট বন্ধ থাকায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মার্কেট ও শপিংমলের দোকানিরাও।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের প্রতিদিন প্রায় এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট ক্ষতি। এ ছাড়া সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘœ ঘটায় মূল্যস্ফীতি বাড়বে, যা ইতোমধ্যে উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চলমান অস্থিরতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মালিকরা। তাদের পুঁজি কম। ধাক্কাটা তাদের ওপর বেশি। অন্যদিকে দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই অস্থিরতার মধ্যে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকার অর্থই হচ্ছে অর্থনীতির বড় ক্ষতি। এই ক্ষতি সার্বিক অর্থনীতির ওপর পড়বে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।

শিক্ষায় ক্ষতি অপূরণীয় : করোনা মহামারীর কারণে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার মধ্যেই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতায় আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১ আগস্ট পর্যন্ত এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। মাঝপথে তাদের পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক লাখ পরীক্ষার্থী পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ও ক্লাস কবে শুরু হবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আটকে আছে বিশ^বিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তির কার্যক্রম।

বড় সংকটে হতাহতের পরিবার : সহিংসতায় বড় সংকটে পড়েছেন হতাহতের পরিবার। আহতদের কেউ কেউ হাত-পা ও চোখ হারিয়ে অনেকটা পরিবারের বোঝা হয়ে গেছেন। কাজে বেরিয়ে আহত হওয়ার পর মামলার আসামি হয়েছেন এমন ঘটনাও ঘটেছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়েছিলেন নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক হাসান মেহেদী। তিনিও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। হাসান মেহেদীর স্ত্রী ফারজানা বলেন, তাদের সাজানোর সংসার একটি গুলি শেষ করে দিল। তার বড় মেয়ে মিশার বয়স তিন বছর ও ছোট মেয়ের ছয় মাস। একদিনে স্বামী হারানোর বেদনা আর আরেকদিকে দুই সন্তান নিয়ে সংসার চালানোর অনিশ্চতায় ফারজানা। হাসান মেহেদীর পরিবারের মতো প্রায় দুই শতাধিক নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা।

এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, এসব পরিবার এবং সংশ্লিষ্ট মানুষগুলো অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি মানসিকভাবে ট্রমায় পড়েছে। সরকারের উচিত এসব পরিবারের পাশে দাঁড়ানো।

বিদেশে প্রশ্নের মুখে ভাবমূর্তি : বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যে হামলা চালানো হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিন্দা জানান। তিনি দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশের নিন্দা এবং এ আদেশ বাতিল করারও আহ্বান জানান। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে সাজা পেয়েছেন ৫৭ বাংলাদেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। কারা, কেন এসব বিক্ষোভ করেছেন তা জানতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে চিঠি দিয়েছে সরকার।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যোগাযোগ খাত : সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেট্রোরেলসহ পরিবহন খাত। এর ফলে ঢাকায় বিআরটিএ অফিসের ১৯ ধরনের সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে পড়েছে। আন্দোলনে বিআরটিএ সদর কার্যালয় ও মিরপুর অফিসে ব্যাপক তা-ব চালানো হয়। মিরপুর অফিসের ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টারের (ভিআইসি) যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করা হয়। এতে করে গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বিআরটিএ সদর কার্যালয় এবং মিরপুর অফিসের অন্তত ১৫টি গাড়ি পুড়ে ফেলা হয়েছে। এতে প্রায় ২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য বাস, মিনিবাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মিরপুরে মেট্রোরেলের দুটি স্টেশনে সহিংসতার কারণে কবে তা চালু হবে তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে রেলের বগিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সহিংসতার আশঙ্কায় বর্তমানে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩১৩ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত : সহিংসতায় সারা দেশে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসারের ৩১৩টি স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের সাঁজোয়া যানসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি। এ সময় পুলিশের তিনজন ও আনসারের একজন সদস্য নিহত হন। আহত হন চার বাহিনীর ১ হাজার ৩৮১ সদস্য। বাহিনীগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ ও সংঘাত ঘিরে চারটি বাহিনীর প্রায় ৩০০টি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সারা দেশে পুলিশের থানা, ইউনিটের কার্যালয়, ফাঁড়ি, ক্যাম্প ও পুলিশ বক্সসহ ২৩৫ স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। ২৩৬টি যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। রাজধানীতে ৬৯টি পুলিশ বক্সসহ ৮০টি স্থাপনা ও কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছে। সংঘাতে ডিএমপির যে পরিমাণ স্থাপনা, যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ধ্বংস হয়েছে, তার আর্থিক মূল্য ৬১ কোটি টাকা বলে জানানো হয়েছে।

Banglar Alo

সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড

৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০

নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]

©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com

Develop by _ DigitalSolutions.Ltd
শিরোনাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম শিরোনাম ব্যাংক থেকে যত খুশি তোলা যাবে নগদ টাকা শিরোনাম নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদির বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব শিরোনাম উপকূলে ঝড়ের শঙ্কায় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত শিরোনাম স্টোরিতে কমেন্ট করার সুবিধা চালু করলো ইনস্টাগ্রাম শিরোনাম হাসপাতালে দীপিকা, আজই হতে পারেন সন্তানের মা!