ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা চান না বাইডেন
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলা সমর্থন করেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর বদলে ইহুদি রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য একটি বিস্তৃত আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার পক্ষে তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে বুধবার (২ অক্টোবর) সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ইসরায়েলিরা কী করতে যাচ্ছে তা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করবো, তবে আমাদের সাত জনের (জি৭ দেশগুলোর প্র্ধানরা) সবাই একমত যে তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার আছে, কিন্তু তাদের সমানুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত।
তিনি জানান, তিনি শিগগিরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু কবে কথা বলবেন, সে বিষয়ে তিনি কোনো কিছু বলেননি বলে জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।
বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, ইরান বড় ভুল করেছে। ইরানের ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় ইসরায়েলের হামলায় সমর্থন দেবেন কি না, এমন প্রশ্নে বাইডেন বলেন, না।
এর আগে বাইডেন জি৭ দেশগুলোর (যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাজ্য) সরকার প্রধানদের সঙ্গে ইসরায়েল-ইরান সংকট ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে আঞ্চলিক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে কথা বলেন।
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জন পিয়ার বলেন, তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের অগ্রহণযোগ্য আক্রমণ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি জানান, ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা জারিসহ সমন্বিত প্রতিক্রিয়া জানানো দরকার বলে জি৭ নেতারা মনে করছেন।
বাইডেন ইসরায়েল ও এর জনগণের প্রতি পূর্ণ সংহতি ও সমর্থন জানিয়েছেন। ইসরায়েলের নিরাপত্তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন, বলেন পিয়ার।
মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলে ১৮০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান। এ হামলার জন্য ইরানকে কঠিন মূল্য দিতে হবে বলে প্রতিশ্রুতি জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।
কিছু বিশ্লেষক বলেছেন, এইবার সম্ভবত ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া আরও তীব্র হবে। ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা অথবা তেল অবকাঠামোতে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন তারা।
মঙ্গলবার রাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধে ইসরায়েলের সঙ্গে যে তিনটি দেশের সামরিক বাহিনী কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অন্যতম। অপর দু’টি দেশ যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে সতর্ক করে বলেছে, এ হামলার ফলাফল তাদের ভোগ করতে হবে। কিন্তু ওয়াশিংটন এক্ষেত্রে কূটনীতিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুর্ট ক্যাম্পবেল বলেছেন, ইরানের হামলার যে কোনো প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে মার্কিন প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে চাইছে কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যে ‘বিপজ্জনক পরিস্থিতি’ বিরাজ করছে তাও আমলে নিচ্ছে আর সংঘাতের বিস্তৃতি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের স্বার্থকে বিপদে ফেলতে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com