নিজস্ব প্রতিবেদক :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজশাহীতে দুই হাতে দুটি পিস্তল নিয়ে গুলি চালানো যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রুবেলকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। এসময় পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলেও আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক ফয়সল তারেক এই রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদিকে রুবেলকে আদালত চত্বরে ঘিরে ফেলে জনতা। এসময় সংবাদকর্মীদের উপরও হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে গত রোববার পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই রিমান্ড শেষে ফের আদালতে হাজির করলে বিচারক দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমীন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, রুবেলের নামে এরই মধ্যে দুই শিক্ষার্থী হত্যাসহ চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা আলী রায়হান হত্যা মামলায় ওইদিন পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আজ রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে র‌্যাবের অভিযানে ধরা পড়ে অস্ত্রধারী যুবলীগ নেতা রুবেল। দুই হাতে গুলি চালানো এই রুবেল ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে দুই শিক্ষার্থী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। জহিরুল ইসলাম রুবেলের বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর চণ্ডিপুর এলাকায়। তিনি ওই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

গত ৫ আগস্টের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রুবেল মাথায় হেলমেট পরে দুটি পিস্তল দুই হাতে নিয়ে সমান তালে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছেন। ওই সময় তার সঙ্গে আরও ছিলেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি বোরহান উদ্দিন পাভেল, মহানগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি, মহানগর যুবলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক রাজিব মতিন, মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রোজেলসহ অনেকেই। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম ও রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী আলী রায়হান নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।