সেতুর পিলারে ফাটল খসে পড়ছে পলেস্তারা
সেতুর পিলারে ধরেছে ফাটল, খসে পড়ছে পলেস্তারা। পিলারের ফাঁকা অংশে বেড়ে উঠেছে গাছ। ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতু দিয়েই চলাচল করছে এলাকাবাসী।
ঢাকার দোহারের প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া হাট-বাজারের পাশে প্রায় ৩৮ বছরের পুরোনো সেতুটি সংস্কার না করায় এই দশা। সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের কোনো বিকল্প দেখছে না সংশ্লিষ্টরা।
জয়পাড়া বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আপাতত সেতুটিতে ভারী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধক ও সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। ৯২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৬ ফুট প্রস্থের সেতুটি ১৯৮৭ সালে নির্মাণ করে ঢাকা
জেলা পরিষদ।
উপজেলা শহরবাসীর চলাচলের জন্য এবং জয়পাড়া বড় হাট-বাজারে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য পদ্মা নদীর শাখা অংশে সাহেবখালী খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের ফলে জয়পাড়া বাজার, লটাখোলা, চর-জয়পাড়া ও চৌধুরী বাজারসহ পৌরসভার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়।
এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক জয়পাড়া শাখার ব্যবস্থাপক সুমি ইসলাম জানান, জয়পাড়া বাজারের এই সেতুটি নিয়ে নাটকের যেন শেষ নেই। সম্প্রতি সেতুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ লেখালেখির পর দোহার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ রোববার বিকেলে আবারও সেতুটিতে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এর আগেও একবার ‘হাইট বার’ ও সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগিয়ে বন্ধ করা হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জয়পাড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ২০২২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় দিনে ও রাতে পদ্মা নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে বাল্কহেড ও ট্রলারে বালু ভরাট করে তা বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হতো। সেই সারি সারি বাল্কহেড ও ট্রলার এই সেতুর নিচ দিয়ে চলাচলকালে একটি বাল্কহেড সেতুর পিলারে এসে জোরে ধাক্কা মেরে আটকে যায়। সে সময় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করে এ সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এর কয়েক মাস পরেই জয়পাড়া বাজার বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন মাঝি বাজার ব্যবসায়ীদের নিয়ে মেয়র আলমাছ উদ্দিনকে অনুরোধ জানালে পৌর কর্তৃপক্ষ সেতুটি খুলে দেয়।
এ বিষয়ে পৌরসভা বিএনপির সভাপতি এস এম কুদ্দুস জানান, দুই বছরের মাথায় সেতুটিকে আবারও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দোহার পৌরসভা। সে সময় পৌরসভা নির্বাচনে তৎকালীন সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, মেয়র আলমাছ ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন পৌরবাসীকে পুরোনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পরে কেউ আর নতুন সেতু নির্মাণ করেননি। যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথা জানান এই বিএনপি নেতা।
এ বিষয়ে পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী এম মামুনুর রশিদ জানান, তিনি নতুন যোগদান করেছেন। তবে পৌর প্রশাসকের সঙ্গে জরুরি সভা করে রোববার সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ
করে দেওয়া হয়েছে। শিগগির নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com