ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫
Banglar Alo

রাজধানীতে দুই মাসে ৬৮ হত্যাকাণ্ড : ঢাকায় প্রবাসী চিকিৎসক খুন ডাকাতি শেষে শিশু অপহরণ

Publish : 09:27 AM, 17 November 2024.
রাজধানীতে দুই মাসে ৬৮ হত্যাকাণ্ড : ঢাকায় প্রবাসী চিকিৎসক খুন ডাকাতি শেষে শিশু অপহরণ

রাজধানীতে দুই মাসে ৬৮ হত্যাকাণ্ড : ঢাকায় প্রবাসী চিকিৎসক খুন ডাকাতি শেষে শিশু অপহরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় খুন, ডাকাতি ও আট মাসের শিশু অপহরণের মতো চাঞ্চল্যকর তিনটি ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকাজুড়েই এমন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত দুই মাসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন অন্তত ৬৮ জন, আহত হয়েছেন কয়েক গুণ। এমন একের পর এক ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও।

গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম ধানমন্ডি এলাকায় গভীর রাতে বাসায় ঢুকে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এক চিকিৎসককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশের ধারণা, চুরিতে বাধা দেওয়ায় এ কে এম আব্দুর রশিদকে (৮২) হত্যা করা হয়। আশপাশের ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহভাজন তিন যুবককে ওই বাসায় ঢুকতে ও বের হতে দেখা গেছে। এদিকে আজিমপুর এলাকার এক বাসা থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের পাশাপাশি গৃহকর্তার ছোট্ট শিশুকেও তুলে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।

হাজারীবাগ থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, চিকিৎসক খুনের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন নিহতের চাচাতো ভাই রেজাউল করিম। পুলিশ জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে। পুলিশ ও ভবনটির বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম ধানমন্ডির ৮/এ নম্বর সড়কের ২৯৪/এ নম্বর বাসার দোতলায় থাকতেন আব্দুর রশিদ ও তাঁর স্ত্রী সুফিয়া রশিদ। তারাই ভবনটির মালিক। দু’জনই পেশায় চিকিৎসক। বছরের বেশির ভাগ সময় তারা যুক্তরাজ্যে থাকেন। 

তারা দেশটির নাগরিকত্বও পেয়েছেন। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে ছেলে প্রকৌশলী মাহবুবুর রশিদ ও মেয়ে তামান্না রশিদও ওই দেশেই স্থায়ী বসত গেড়েছেন। রশিদ দম্পতি প্রতিবছর কিছুদিনের জন্য দেশে এসে থাকেন। এবার সেপ্টেম্বরে তারা আসেন। বৃহস্পতিবার রাতে রশিদ বারান্দার দরজা খুলে নামাজ পড়ছিলেন। তখন সেদিক দিয়ে দুর্বৃত্তরা বাসায় ঢোকে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থল পাঁচতলা বাড়িটির প্রতি তলায় দুটি করে ইউনিট। মালিকের ফ্ল্যাট ছাড়া বাকিগুলোয় শিক্ষার্থীরা ভাড়া থাকেন। নিউমার্কেট এলাকায়ও রশিদের মালিকানাধীন একটি ভবন রয়েছে। ঘটনাস্থলের পাশের ২৯৫ নম্বর ভবনের দোতলার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম জানান, আনুমানিক রাত পৌনে ৩টার দিকে তিনি রশিদ দম্পতির চিৎকার শুনতে পান। তখনই তিন যুবককে ভবন থেকে লাফ দিয়ে নেমে পালাতে দেখেন। খারাপ কিছু ঘটেছে অনুমান করে তিনি তখনই ওই ভবনের শিক্ষার্থীদের ডেকে বিষয়টি দেখতে বলেন। 

দোতলায় রশিদের পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শোয়েব আহমেদ ও শাহেদ আরেফিন জানান, তারা দ্রুত মালিকের ফ্ল্যাটে ছুটে যান। তবে তখন বহিরাগত কেউ সেখানে ছিল না। সুফিয়া স্বামীর রক্তাক্ত দেহ নিয়ে বসেছিলেন। স্বামীর মাথায় পানি ঢালছিলেন তিনি। 

পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান বাঁধন জানান, দ্রুত আব্দুর রশিদকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে গতকাল শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পাশের ২৯৭ নম্বর ভবনের বাসিন্দা শিক্ষার্থী রাফিন ইসলাম জানান, ঘটনার পরপর তিন যুবককে দৌড়ে পালাতে দেখেছেন। তাদের মুখে মাস্ক এবং একজনের গায়ে চাদর ছিল। তাদের বয়স আনুমানিক ২২-২৩ বছর। 

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, জিন্সের প্যান্ট পরা তিন যুবক ভবনটিতে ঢুকছে। আরেকটি ফুটেজে তাদের ভবন থেকে লাফ দিয়ে পালাতেও দেখা যায়। তবে তাদের চেহারা পরিষ্কার বোঝা যায়নি। 

সরেজমিন দেখা যায়, ভবনটির নিচের কলাপসিবল গেটে পৌঁছার আগে আরও দুটি গেট পার হতে হয়। সীমানাপ্রাচীর সংলগ্ন প্রথম গেটে তালা থাকলেও দ্বিতীয় গেটে ছিল না। অবশ্য কলাপসিবল গেট ছিল বন্ধ। বাসিন্দাদের ধারণা, সীমানাপ্রাচীর টপকে ঢোকার পর রশিদের ফ্ল্যাটের জানালার সানশেড দিয়ে উঠে যায় দুর্বৃত্তরা। এর পর ফ্ল্যাট সংলগ্ন বারান্দা খোলা থাকার সুযোগে তারা ভেতরে ঢুকে পড়ে। তারা মালপত্র চুরির চেষ্টা করলে রশিদ তাদের বাধা দেন। তখন ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।

নিহতের স্ত্রী ডা. সুফিয়া রশিদ জানান, স্বামীর চিৎকার শুনে তিনি এগিয়ে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন অন্ধকারের মধ্যে পালিয়ে যায়। আর রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তাঁর স্বামী।

রশিদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায়। গতকাল সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়। 

হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে হাজারীবাগ থানা পুলিশ ছাড়াও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেন। পিবিআইর এক কর্মকর্তা জানান, চুরি করতে গিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে তাদের মনে হচ্ছে না। বরং তুচ্ছ কোনো ঘটনার জের ধরে এমনটা ঘটে থাকতে পারে। এতে ভবনে থাকা শিক্ষার্থীদের কারও সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও তারা ধারণা করছেন। সিসিটিভি ফুটেজে যে তিনজনকে দেখা গেছে, তাদের পেশাদার অপরাধী বলে মনে হয়নি।

এদিকে গতকাল হাজারীবাগ এলাকায় সাইকেল চুরিতে বাধা দেওয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে শাহাদাত আকবর হোসেন শান্ত (১৭) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

টাকা-গহনার সঙ্গে শিশুটিকেও নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

রাজধানীর আজিমপুরের একটি বাসা থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকারের সঙ্গে আট মাসের শিশু জাইফাকেও তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সকালে আজিমপুর মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ওই বাসায় সাবলেট থাকা এক নারী এতে জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার জসীম উদ্দিন বলেন, এমন একটি ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। গৃহকর্ত্রী ফারজানা আক্তারের ভাষ্য, পরিচিত এক নারীকে তিনি বাসার একটি ঘরে সাবলেট দিয়েছেন। এক সপ্তাহ আগে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়। বৃহস্পতিবার থেকে তিনি বাসায় থাকতে শুরু করেন। এর পর গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই নারী আরও তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে ফারজানার ঘরে ঢোকেন। এর পর তাঁকে বেঁধে রেখে মারধর করা হয়। তারা টাকা-গহনা লুট করে। শেষে ফারজানার শিশুসন্তানকেও নিয়ে যায় তারা। 

উপকমিশনার জানান, পরিবারটি এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেয়নি। সাবলেট থাকা নারীর সম্পর্কেও তাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। তবে পুলিশের একাধিক দল শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে সাবলেট থাকা নারীসহ অন্যদের বাসায় ঢুকতে দেখা গেছে। তবে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে, তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। 

শিশুটির মায়ের এক সহকর্মী জানান, ফারজানা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে সাঁটমুদ্রাক্ষরিক হিসেবে কাজ করেন। তাঁর স্বামী আবু জাফর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ওই বাসা থেকে দেড় লাখ টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে বলে শুনেছেন তিনি।

বাসা থেকে শিশু অপহরণের ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে পোস্ট দিয়েছেন। শিশুটির মায়ের এক সহকর্মী ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আজ শুক্রবার আজিমপুর মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টার, লালবাগ টাওয়ারের পাশের গলি থেকে আমার অফিস কলিগ ফারজানার বাসায় ডাকাতি হয়েছে। ডাকাত (একজন মহিলা আর দু’জন পুরুষ) জিনিসপত্র ও একমাত্র বাচ্চা নিয়ে গেছে।’

লালবাগ থানার ওসি ক্যশৈনু সাংবাদিকদের বলেন, সাবলেটে থাকা নারী এ ঘটনার মূল হোতা বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু তার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কোনো তথ্যই নেই গৃহকর্ত্রীর কাছে। ঘটনার সময় জড়িত অন্যরা এলে সন্দেহভাজন ওই নারী গিয়ে দরজা খুলে দেন। এর পর তারা গৃহকর্ত্রীকে বেঁধে অন্যান্য জিনিসপত্রের সঙ্গে শিশুটিকে নিয়ে চলে যায় বলে জানা গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, দু’কক্ষের বাসাটি অগোছালো। শিশুটির মা ফারজানা আক্তার একটি ঘরে উচ্চস্বরে কাঁদছেন। সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক বাসার ভেতর ও বাইরে অবস্থান করছেন। দোতলার ভাড়াটিয়া ডা. মাহিয়ান আক্তার বলেন, ‘সকালে চিৎকার শুনে নিচে বাসায় গিয়ে দেখি, ওয়ার্ডরোব, আলমারি খোলা- অগোছালো। শুনলাম, মালপত্র লুট করার পর বাচ্চাও নিয়ে গেছে। কিন্তু কারা কীভাবে নিয়ে গেল, তা জানাননি ফারজানা। সাবলেটে থাকা নারীর বিষয়েও কিছু বলেননি। ডাকাতি হলে তো অর্থসম্পদ নিয়ে যাবে। কিন্তু বাচ্চা নেবে কেন? তারা বিস্তারিত কিছু বলছে না।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ভাড়াটিয়া বলেন, কয়েক মাস আগে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জের ধরে আবু জাফর বাসা থেকে চলে যান। তার পর থেকে ফারজানার মা-বাবা থাকতেন বাসায়। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তারা বাসা থেকে চলে যান। পরে সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকজন বাজার সদাই নিয়ে বাসায় আসে। এর কিছুক্ষণ পর ‘ডাকাতি’র ঘটনা শুনতে পান। যে নারী শিশুটিকে নিয়ে গেছে, তার সঙ্গে ফারজানার পরিচয় মন্ত্রণালয়ের বাসে যাতায়াতের সময়। ওই নারীও আরেকটি মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন বলে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি মাঝেমধ্যেই এসে এখানে থাকতেন। বৃহস্পতিবার সাবলেট থাকবেন বলে আসেন।

ঘটনার বিষয়ে ফারজানার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি বাসার ভেতর কাউকে ঢুকতে দেননি। ভেতর থেকে জানিয়ে দেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলবেন না। এদিকে শিশুকে তুলে নেওয়ার পর ফারজানার স্বামীকে ওই বাসায় আসতে দেখেছেন বলে জানান বাসার নিরাপত্তাকর্মী মোহাম্মদ ইসরাফিল। ফারজানার দেবর সোহাগ হাওলাদার জানান, ফারজানার সঙ্গে ১৬ বছর আগে আবু জাফরের বিয়ে হয়। অনেক চিকিৎসার পর এ বছর তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। ডাকাতরা অপহৃত শিশুটিকে ভারতে পাচারের হুমকি দিয়েছে বলে জানান তিনি। 

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে তিনজন বাসায় ঢোকে। লুটপাট শেষে শিশুটিকে নিয়ে ৯টা ২৪ মিনিটে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় তারা।

Banglar Alo

সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড

৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০

নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]

©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com

Develop by _ DigitalSolutions.Ltd
শিরোনাম বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিকল্পনা আমিরাতের বড় দুই কোম্পানির শিরোনাম বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন করতে সাহায্য করবে ইইউ শিরোনাম বেশি সুদে এস আলমের ব্যাংকে টাকা রেখেছেন, এখন ধরা খেয়েছেন শিরোনাম ইসির স্বাধীনতার গ্যারান্টি চাইলেন সিইসি শিরোনাম সাত কলেজ নিয়ে নতুন একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে শিরোনাম ৬০ শতাংশ সুস্থ হয়ে গেছেন খালেদা জিয়া