দুইশর বেশি রানের লক্ষ্য দিয়ে দ. আফ্রিকাকে হারাতে চায় বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে ১০১ রানে। ওপেনার মাহমুদুল ৩৮ আর মুশফিকুর রহিম ৩১ রান নিয়ে আগামীকাল তৃতীয় দিন শুরু করবেন।
বাংলাদেশ সমর্থকেরা নিশ্চয় চাইবেন, কাল এ দুজনের মধ্যে অন্তত একজনের ইনিংস তিন অঙ্কে পৌঁছাক। নয়তো আরেকটি পরাজয় চোখরাঙানি দিতে থাকবে।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে পেসার হাসান মাহমুদ যে আশার বাণী শোনালেন সেটা রীতিমতো অবাক হওয়ার মতোই। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশের পেসার বললেন, '২০০ রানের বেশি লক্ষ্য দিলে অবশ্যই আমরা পারব (জিততে)।'
ম্যাচের বাস্তবতায় যদিও হাসানের কথায় হাসতে পারেন অনেকে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে স্রেফ ১০৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম দুই উইকেট পড়েছে স্রেফ চার রানেই। দিন শেষে দলের রান ৩ উইকেটে ১০১। ইনিংস পরাজয় এড়াতেই প্রয়োজন এখনও আরও ১০১ রান। এই দলের কেউ ম্যাচ জয়ের কথা বললে তা হাসির খোরাক জোগাতেই পারে।
তবে হাসান হাসছেন না। বরং তিনি আত্মবিশ্বাসী। শেষ ইনিংসে ২০০ রানের লক্ষ্য দিতে হলে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে ৪০০ রান করতে হবে। ভঙ্গুর ব্যাটিং লাইন আপের এই দল কি তা পারবে?
হাসানের প্রত্যয়ী উত্তর, 'কালকে (বুধবার) তিন সেশন ব্যাট করতে পারলে অবশ্যই সম্ভব।” সমস্যা হলো, হাসানের এই আত্মবিশ্বাস ব্যাটসম্যানদের আছে কি না, প্রশ্ন সেখানেই। ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে সেটি জানার উপায় এখনও হয়নি। টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতার এই দুই দিনে সংবাদ সম্মেলনে কোনো ব্যাটসম্যানকে পাওয়া যায়নি দলের প্রতিনিধি হয়ে। তাই ব্যাখ্যাও জানা যায়নি। হাসানের কাছ থেকেই তাই ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা পাওয়ার চেষ্টা চলল।'
হাসান নিজের কাজটি ঠিকঠাক করে চলেছেন ম্যাচের পর ম্যাচে। টেস্ট দলে ফেরার পর থেকে অসাধারণ বোলিং করেছেন চলেছেন তিনি। পাকিস্তান থেকে ভারত হয়ে এই মিরপুর টেস্টেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ২৫ বছর বয়সী পেসার। কিন্তু তার সতীর্থ ব্যাটসম্যানরা যে খাবি খাচ্ছেন ম্যাচের পর ম্যাচে!
হাসান নিজে এবং অন্য বোলাররাও কমবেশি ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের টানা ব্যর্থতায় বোলারদের মধ্যে কি হতাশা কাজ করে না?
হাসান পুরোপুরি এড়িয়ে গেলেন না তা। তবে দলের একজন হিসেবে আশার কথাও শোনালেন সতীর্থদের নিয়ে। 'খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক (বোলারদের)…। তবে মন থেকে বিশ্বাস করি, আমরা আবার একটা সময় ঘুরে দাঁড়াব'। চিন্তা করি পরের দিন ভালো হবে। নিজেদের ব্যাটাররা ভালো খেলার আশা সবারই, স্কোর করব, সবাই মিলে একটা রান দাঁড় করাব। যেটাতে আমরা ম্যাচ জিততে পারব। এভাবে চিন্তা করে এগোনো উচিত।
হাসান আশার উপকরণ পাচ্ছেন দ্বিতীয় দিন শেষ আধঘণ্টায় মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিংয়ে। নাজমুল হোসেন শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে গিয়েই দারুণ ব্যাটিং করেছেন মুশফিক। প্রোটিয়া স্পিনারদের সুইপের পর সুইপ খেলে লাইন-লেংথ এলোমেলো করার চেষ্টা করেছেন। দ্রুত রান তুলে চাপ আলগা করার চেষ্টা করেছেন। সফলও হয়েছেন বেশ। দিন শেষে ৩১ রানে অপরাজিত তিনি স্রেফ ২৬ রান করেই।
আরেক প্রান্তে জয়ও জমে গেছেন উইকেটে। শেষ বেলায় জীবন পাওয়ার আগ পর্যন্ত বেশ নির্ভরতায় খেলেছেন এই টেস্টেই একাদশে ফেরা ওপেনার। প্রবল চাপের মধ্যেও এই জুটিতে ৪২ রান এসেছে কেবল ৮.২ ওভারেই।
এই জুটির পথ ধরেই আরও কয়েকটি বড় জুটি গড়ে লক্ষ্য পূরণের স্বপ্ন দেখছেন হাসানরা। জয় ও মুশি ভাই আজকে অনেক ভালো একটা সময় পার করেছ। কালকে (বুধবার) চেষ্টা থাকবে যত লম্বা সময় ব্যাট করতে পারে, দুজনের জুটি যতটা বড় করতে পারে। এরপর পেছনে যারা ব্যাটসম্যান আছে, তাদেরও একই লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করা উচিত যে, আমরা কত বড় পার্টনারশিপ করতে পারব।
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com