ঢাকা, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪
Banglar Alo

ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা মিলছে না চাঁদপুরে

Publish : 10:51 AM, 24 July 2024.
ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা মিলছে না চাঁদপুরে

ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা মিলছে না চাঁদপুরে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ভরা মৌসুম চললেও প্রাণচাঞ্চল্য ফেরেনি চাঁদপুরের সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বড় স্টেশনের মাছঘাটে। চলমান কারফিউতে পরিবহন সংকটে রুপালি ইলিশের আমদানি না থাকায় নদী উপকূলীয় অধিকাংশ আড়তের ব্যবসায় মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাজারে ইলিশের আমদানি আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বড় স্টেশন মাছ ঘাটে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

মাছ ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, ট্রলারের চাইতে সড়কপথে মাছ আমদানি অনেক সহজ ও লাভজনক। কিন্তু কারফিউর কারণে অনেকেই ইলিশ নিয়ে আসছে না। যার কারণে অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় বর্তমান বাজারে মাছ অনেকটাই কম। বর্তমান বাজারে ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৩০০ টাকা, ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৫০০ টাকা, ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৭০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

আড়ত ব্যবসায়ী মেজবাহ উদ্দিন মাল বলেন, একসময় খাল, ডোবা থাকায় বর্জ্য নদীতে ফেলা হতো না। কিন্তু খাল বিল কমে যাওয়ায় সব ধরনের কেমিক্যাল বর্জ্য পদার্থ নদীতে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে নদী দূষণ হচ্ছে। নদীর এই দূষণের কারণে বর্তমানে ইলিশের অনেক সংকট বলা চলে। কারণ অন্যান্য মৌসুমে এ সময় ইলিশের প্রচুর আমদানি থাকত। 

আরেক আড়ত ব্যবসায়ী মো. আলী আকবর বলেন, আমাদের নদীতে যখন অভিযান থাকে তখন সমুদ্রে অভিযান থাকে না। আবার একই সমুদ্রে দুই দেশের আলাদা আলাদা সময়ে অভিযান থাকে। এক সমুদ্রে যখন বাংলাদেশে অভিযান থাকে তখন পার্শ্ববর্তী ভারতে অভিযান থাকে না। তখন ভারতে জেলেরা এসে সমুদ্রে মাছ ধরে। এতে অভিযান শেষে আমরা আর তেমন মাছ পাই না বা থাকে না। যদি অভিযান একই সময়ে হয় তাহলে মাছ আমরা আগের মতোই পাব বলে আশা করছি।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত বলেন, বর্তমানে দেশের আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে আমরা প্রচুর পরিমাণে ইলিশ পাচ্ছি না, যা একসময় আমরা পেয়েছি। নদীতে ইলিশের পরিমাণ তখনই বাড়ে, যখন প্রচুর পরিমাণে ঝড়- বৃষ্টি হয়। এছাড়াও বর্তমানে কারফিউর কারণে পরিবহন তেমন একটা চলছে না এবং অনেকে পরিবহনে মাছ আনার চেষ্টাও করছে না। পরিবহন স্বাভাবিকভাবে চললে চারদিক থেকে ইলিশের আমদানি বেড়ে যেত। আজকের বাজারে লোকাল ও বাইরে মিলিয়ে প্রায় ১৫০-২০০ মণ ইলিশ উঠেছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, সদরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে আমরা বছর জুড়ে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছি। বিশেষ করে, জাটকা সংরক্ষণ ও মা-ইলিশ রক্ষায় আমরা জেলেদের সচেতন করে আসছি। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সফল হয়েছে। নদীতে চর জেগে ওঠা, নদীর পানি দূষণ ও ইলিশের খাদ্য হ্রাস পাওয়ায় মিঠা পানিতে ইলিশের বিচরণ কম। তবে ভরা মৌসুমে ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Banglar Alo

সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড

৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০

নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]

©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com

Develop by _ DigitalSolutions.Ltd
শিরোনাম আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা শিরোনাম দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সয়াবিন ও পাম তেলে ভ্যাট ছাড় শিরোনাম ঈদ ও পূজার ছুটি বাড়লো শিরোনাম বিড়াল তাড়াতে গিয়ে প্রাণ গেল নারীর শিরোনাম শমসের মবিন চৌধুরীর বাসায় অভিযান শিরোনাম নতুন দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় পিটার হাস