কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা শসার কেজি ১৩০
হঠাৎ চড়া কাঁচামরিচের বাজার। দু’দিনের ব্যবধানে মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত। দাম বাড়ার দৌড়ে রয়েছে শসা ও টমেটো। একই সময়ে সালাদের অন্যতম প্রধান উপকরণ দুটির দর বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকার মতো। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, তেজকুনিপাড়া বাজার ঘুরে এ অস্বাভাবিক দর দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীদের যুক্তি, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কাঁচামরিচ, শসা ও টমেটোর চাহিদা বাড়ে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশে এবার এসব পণ্য উৎপাদনে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। ফলে ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে আট দিন আমদানি বন্ধ থাকবে। তাই বাড়তি চাহিদার কারণে দাম বাড়ছে। আরও বাড়তে পারে– এমন শঙ্কাও করছেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার খুচরা বাজারে কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হয়েছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। গতকাল শনিবার দাম বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা দরে।
এ বছর তীব্র তাপদাহের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মরিচ গাছ ও ফুল নষ্ট হয়ে গেছে। তাতে উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়। সে জন্য দাম বাড়তে থাকে। তাই চাহিদা ও দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। গত ২৩ মে থেকে আমদানি শুরু হলে বাজারে দাম কমে আসে। ভারত থেকে দেশে বেশির ভাগ কাঁচামরিচ আসে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। ঈদুল আজহার ছুটিতে এ স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল থেকে টানা আট দিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। গত বছর একই সময়ে আমদানি বন্ধ থাকার সুযোগে দেশের বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে এক পর্যায়ে মরিচের কেজি দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে হাজার টাকাও ছুঁয়েছিল।
এ ব্যাপারে তেজকুনিপাড়ার সবজি বিক্রেতা রুবেল হোসেন বলেন, ‘গত বছরও এ সময় মরিচের দর বেড়েছিল। এবারও সে পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। পাইকারি বাজারে এক দিনেই কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।’
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা রাসেল মিয়া বলেন, কোরবানির ঈদে মরিচ, শসা ও টমেটোর চাহিদা বেশি থাকে। তা ছাড়া কয়েক দিন আমদানি বন্ধ থাকবে। সেজন্য দর বেড়েছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ বলেন, ‘আট দিন আমদানি বন্ধ। এর একটা চাপ পড়বে বাজারে। কোরবানির সময় বাড়তি যে চাহিদা তৈরি হবে, সে তুলনায় সরবরাহ কম থাকবে। সেজন্য দামটা বাড়ছে।’
কাঁচামরিচের মতোই চড়া শসা ও টমেটোর বাজার। টমেটো কিছু পরিমাণে আমদানি হলেও শসা আমদানি হয় না। সারাবছরই কমবেশি উৎপাদন হয়। দু-তিন দিন আগে শসার কেজি ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। দাম বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। তিন দিন আগে খুচরা পর্যায়ে টমেটো বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। গতকাল প্রতি কেজি কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হয়েছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা।
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com