সেন্ট্রাল নয়, স্বতন্ত্র হওয়ার পক্ষে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা
সরকারি তিতুমীর কলেজকে ‘স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে দেখতে চান কলেজটির অধিকাংশ শিক্ষার্থী। তবে সম্প্রতি একটি ফেসবুক জরিপকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, ওই জরিপে প্রকৃত মতামত বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
‘সেন্ট্রালের সমর্থক তিতুমীরিয়ান’ নামে একটি ফেসবুক পেজে চালানো ওই জরিপে শুধুমাত্র তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেননি; বরং সদ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে মুক্ত ছয় কলেজ-ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, বদরুন্নেছা মহিলা কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছেন। ফলে এ জরিপের ফলাফল প্রকৃত তিতুমীর শিক্ষার্থীদের মতামতকে যথাযথভাবে প্রতিফলিত করে না বলে দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, তারা বরাবরই তাদের প্রতিষ্ঠানটিকে ‘স্বতন্ত্র’ হিসেবে দেখতে চেয়েছেন এবং এ দাবিতে আন্দোলনও করেছেন। কিন্তু বিভ্রান্তিকর জরিপের মাধ্যমে অন্য কলেজের শিক্ষার্থীদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে তিতুমীর কলেজকে ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ করার পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা চলছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, “শিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থে তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবেই দেখতে চাই। সরকারের আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করা হলেও, দাবির পক্ষে কার্যকর অগ্রগতি না হলে আবারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ-ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, ইডেন কলেজ, বদরুন্নেছা মহিলা কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সরকারি বাংলা কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই অধিভুক্তি কাঙ্ক্ষিত মানোন্নয়ন তো আনেনি, বরং শিক্ষার পরিবেশকে আরও নাজুক করে তুলেছে।
অবশেষে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাবি কর্তৃপক্ষ সাত কলেজকে অধিভুক্তি থেকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে। অধিভুক্তি বাতিলের পর ছয় কলেজের শিক্ষার্থীরা সাতটি কলেজকে একত্রিত করে ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ করার পক্ষে মত দিলেও, তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা এই প্রস্তাবে দ্বিমত পোষণ করেন। তাদের দাবি, তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হোক।
দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবির মধ্যে ছয়টি বাস্তবায়নের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান আশ্বাস দিয়েছেন। বাকি এক দফার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আগামী নির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com