স্বস্তি নেই বাজারে, চাল-তেলে কৃত্রিম সংকট
নতুন করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর দেড় মাসের বেশি সময় পরও বোতলজাত সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট কাটেনি। বরং নতুন করে বাজারে খোলা সয়াবিন তেলেরও সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বড় ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি এবং আলুর দাম কিছুটা কমলেও আগের মতোই চড়া রয়েছে চালের দাম। আর পেঁয়াজের দামও পাইকারিতে ২-৩ টাকা করে বেড়েছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও তালতলা ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, দুই সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমতির দিকে। সপ্তাহ দুই আগে এক কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২০০-২১০ টাকা। এরপর সাত-আট দিন আগে দাম কেজিতে ১০ টাকা করে কমেছিল। আর গতকাল তা আরও ১০ টাকা কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৮০-১৯০ টাকায়। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে দাম কমেছে ২০ টাকা।
এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে চলা সয়াবিন তেলের সংকট বাজারব্যবস্থার দুর্বলতা এবং সরকারি নজরদারির অভাবের একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেছেন বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
জানা গেছে, সয়াবিন তেলের দাম আবারও বাড়ানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। গত ৯ ডিসেম্বর লিটারে আট টাকা বাড়ানোর পর সম্প্রতি আবারও দাম বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বাজারে বোতলজাত পাঁচ লিটারের তেলের সরবরাহ কিছুটা থাকলেও এক ও দুই লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। হাতে গোনা দু-একটি দোকানে দুই লিটারের বোতল পাওয়া গেলেও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম রাখা হচ্ছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন মানভেদে কেজি ৪০ থেকে ৬০, শীতকালীন সবজি শিম মানভেদে প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৫০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০, পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৪০, কাঁচামরিচ কেজি ৬০ থেকে ৮০, চিচিঙ্গা কেজি ৫০, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০, শসা ৪০ থেকে ৫০, মিষ্টিকুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০, গাজর মানভেদে ৪০ থেকে ৬০, মুলা ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু প্রতিকেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং মিষ্টি আলু কেজি মানভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ মানভেদে ৫০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে রসুন এখনো আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। দেশি ও আমদানি করা রসুন কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে ডিমের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মগবাজারের বাসিন্দা ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী কাবির বলেন, ‘আমরা সীমিত আয়ের মানুষ। এক শ টাকা ব্যয় বাড়লেও তা অনেক। প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে চালের দাম বাড়তি। তেলের বাজারেও অস্থিরতা। এভাবে চলতে থাকলে কি হবে বুঝতে পারছি না।’
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com