শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৫১ মামলা : এস আলম, সাকিব ও ফেরদৌসের বিরুদ্ধে এবার হত্যা মামলা : বিচারপতি মানিক আটক ও আ স ম ফিরোজ গ্রেপ্তার
রাজধানীর আদাবরে পোশাক শ্রমিক মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানাসহ ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আদাবর থানায় এ মামলা করা হয়। এতে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ছাড়াও আলোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তাঁর দুই ছেলেকে আসামি করা রয়েছে। এই প্রথম তারা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হলেন। অভিযুক্ত অন্যরাও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং বড় অংশই সাবেক মন্ত্রী ও এমপি।
এ ছাড়া সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক এবং বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, কৃষক লীগ ও মৎস্যজীবী লীগের নামও রয়েছে আসামির তালিকায়।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও সাভারে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও সাতটি হত্যা মামলা হয়েছে। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়াল ৫২-তে। এদিকে সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজকে রাজধানীর বনানী থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে ভারতে যাওয়ার সময় গতকাল সিলেট সীমান্তে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করেছে বিজিবি।
আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু চন্দ্র বণিক সমকালকে বলেন, নিহত রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এজাহারে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট সকালে রুবেল গুলিবিদ্ধ হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট সকালে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
এ মামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন– আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক র্যাব মহাপরিচালক হারুন উর রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক সিটিটিসিপ্রধান মো. আসাদুজ্জামান, সাবেক এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আ ক ম মোজাম্মেল হোসেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোহাম্মদ এ আরাফাত, জুনাইদ আহমেদ পলক, হাছান মাহমুদ, সাবের হোসেন চৌধুরী, নসরুল হামিদ বিপু, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক, ফরহাদ হোসেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরী, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, শাজাহান খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, মাহবুবউল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সানজিদা খানম, হাজী সেলিম, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট প্রমুখ।
এজাহারে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে গত ১৫ জুলাই মামলার ২২ থেকে ৯৬ নম্বর আসামিরা (এর মধ্যে সাকিব ও ফেরদৌস রয়েছেন) শিক্ষার্থী-জনতার ওপর হামলা ও হত্যার পরিকল্পনা করেন। এর অংশ হিসেবে ওবায়দুল কাদের আন্দোলনকারীদের মোকাবিলার জন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে নির্দেশ দেন। ৫ আগস্ট সকালে রুবেল ছাত্র-জনতার মিছিলে যোগ দেন। মিছিলটি আদাবরের রিং রোডে হক সাহেবের গ্যারেজের কাছে পৌঁছালে পুলিশসহ মামলার ১১ থেকে ১৫৬ নম্বর আসামি এবং অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী গুলি ছোড়ে। দুটি গুলি রুবেলের শরীরে বিদ্ধ হয়। তাঁকে প্রথমে গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হাসপাতাল এবং পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিটি কেয়ার জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাঁর মৃত্যু হয়।
মামলার বাদী সমকালকে জানান, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে বিবরণ শুনে এবং স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে কিছুটা দেরিতে তিনি এ মামলা করেন। তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে হত্যা মামলায় সাকিবের নাম আসার পর বিসিবির দায়িত্বশীলরা কেউ এ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এখনই কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। এটা নিয়ে বোর্ডে আলোচনার ব্যাপার আছে।’
সিটিটিসিপ্রধানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
এক ব্যক্তিকে অপহরণ ও জঙ্গি হিসেবে ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যার ভয় দেখিয়ে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পুলিশের সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক প্রধান আসাদুজ্জামানসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অপর দুই আসামি হলেন সিটিটিসি কর্মকর্তা সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার আতিকুর রহমান ও সাবেক সহকারী কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
নড়িয়া উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিউর রহমান সাগর বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) পাঁচজনের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করেন। আদালত মতিঝিল থানাকে মামলাটি এজাহার হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
বাদীর অভিযোগ, ২০২২ সালের ১৮ মে মতিঝিলের হোটেল শাকিল ইন্টারন্যাশনাল থেকে তাঁকে জোর করে তুলে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান আসামিরা। সেখানে সাত দিন তাঁকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। তখন আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তাঁর কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে জঙ্গি হিসেবে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। পরে জীবন বাঁচানোর জন্য তিনি তাঁর ম্যানেজার মাসুদ দেওয়ানের সহযোগিতায় ২২ মে সাবেক সহকারী কমিশনার শফিকুল ইসলামের কাছে ৫০ লাখ টাকা তুলে দেন। বাকি ৫০ লাখ টাকা চাঁদার জন্য আসামিরা ২৪ মে পর্যন্ত তাঁকে নির্যাতন করে।
চার জেলায় হাসিনার বিরুদ্ধে ৭ হত্যা মামলা
ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের তথ্য অনুসারে, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে শফিক মিয়া ও আশিক মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। শফিক মিয়ার চাচাতো ভাই আবু হানিফ ও আশিক মিয়ার মা কুলসুম বেগম এ দুটি মামলা করেন। উভয় মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৬৯৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গত ৫ আগস্ট হাফেজ সোলায়মান (১৯) নামে এক তরুণকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের ভগ্নিপতি শামীম কবির সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন। সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে ঘরের বারান্দায় পোশাককর্মী সুমাইয়া (১৯) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন নিহত সুমাইয়ার বোনজামাই বিল্লাল হোসেন।
গাজীপুরে গত ২০ জুলাই আরিফ ব্যাপারী নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ১১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গাছা থানায় বৃহস্পতিবার মামলাটি করেন নিহতের বাবা রজ্জব আলী। সাভারে গত ৫ আগস্ট গুলিতে শিক্ষার্থী আব্দুল আহাদ সৈকত নিহতের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের বাবা নজরুল ইসলাম সাভার মডেল থানায় এ মামলা করেন।
বগুড়ায় শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা, তাঁর ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববিসহ ৮২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। ২০১৮ সালে শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা শাহ আলম সুজাকে হত্যার অভিযোগে দলের উপজেলা সম্পাদক আবদুল ওহাব বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
সাবেক বিচারপতি মানিক আটক
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গতকাল রাতে আটক করা হয়েছে। এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মানিকের বিরুদ্ধে গত ১৯ আগস্ট নোয়াখালীর আদালতে মামলা করা হয়। জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসান পলাশ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আটকের পর মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, প্রশাসনের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ৪০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও ডেবিট কার্ড ছিল। যারা তাঁকে সীমান্ত পার করিয়ে দেন, তাদের সঙ্গে ১৫ হাজার টাকার চুক্তি ছিল। কিন্তু তারা মারধর করে ৬০-৭০ লাখ টাকা নিয়ে চলে যায়। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি হাফ শার্ট ও ফুল প্যান্ট পরে কলাপাতার ওপর শুয়ে আছেন।
আ স ম ফিরোজ গ্রেপ্তার
জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজকে গতকাল রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে কোন মামলা বা কী অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ আটবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসন থেকে বিজয়ী হন। একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনে ১ নম্বর প্যানেল স্পিকার হিসেবে সংসদ পরিচালনা করেন তিনি।
রাশেদ খান মেনন ৫ দিনের রিমান্ডে
ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মহানগর হাকিম আলী হায়দার গতকাল শুক্রবার এ আদেশ দেন। একই মামলায় আরিফ আহমেদ নামে আরেকজনকেও পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় মেননকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর গতকাল বিকেলে তাঁকে আদালত চত্বরে আনা হয়। এ সময় আদালত চত্বরে সেনাসদস্য, বিজিবি সদস্য ও বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিলেন। তখন কিছু আইনজীবীকে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। বিকেল ৪টার দিকে মেননকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মেননসহ অন্তত ১০ শীর্ষ রাজনীতিককে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com