টাইমিং দশের নিচে নামানো সহজ নয়
কয়েক বছর ধরে ইমরানুর রহমানের আলোয় আলোকিত বাংলাদেশের অ্যাথলেটিকস। ২০২২ সালে ইনডোর অ্যাথলেটিকসে ৬০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জয়ের পর এ অ্যাথলেটকে নিয়ে প্রত্যাশার পারদটাও বেড়ে যায়। ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় দ্রুততম মানবের খেতাবটিও ধরে রাখেন তিনি। কিন্তু গত বছর চীনের হ্যাংঝুতে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান গেমসে ব্যর্থ হন ইমরানুর। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তার পরও দেশের দ্রুততম মানব হওয়ায় প্যারিস অলিম্পিকে অ্যাথলেটিকস থেকে ওয়াইল্ড কার্ডের জন্য পাঠানো হয় তাঁর নাম।
কোটার মাধ্যমে অলিম্পিক খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে ইমরানের। ২৬ জুলাই প্যারিস অলিম্পিকে বাংলাদেশের পাঁচ স্বপ্নসারথির একজন লন্ডনপ্রবাসী এ তারকা। অতীতে অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে যারাই খেলেছেন, হিট থেকে বিদায় নিয়েছেন তারা। প্যারিসের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ইতিহাস বদলে দিতে চান ইমরান, ‘আমি পরের রাউন্ডে যেতে চাই। যতটা সম্ভব ভালো করতে। এমন কিছু করতে চাই, যা অতীতে কেউ করতে পারেননি। সেরা টাইমিং করতে হবে বিষয়টা এমন নয়। শুধু ভালো একটা দৌড় দিতে চাই। এটাই আমার মাথায় ঘুরপাক করছে।’
জাতীয় অ্যাথলেটিকসে বর্তমানে ইমরানুরের টাইমিং ১০.৪৯ সেকেন্ড। ১০০ মিটারে আগে ১০.২৭ ও ১০.০১ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেছিলেন তিনি। যে কারণে দশের নিচে টাইমিংটা আনার একটা সুযোগ তাঁর সামনে। বাস্তবে সেটা অনেক কঠিন বলে মনে করেন ইমরান, ‘টাইমিং ১০ সেকেন্ডের নিচে নামানো সহজ নয়। বাস্তবে আমার সেই সামর্থ্য নেই। বিশ্বের সেরা স্প্রিন্টাররা ১০-এর নিচে দৌড়ান। কয়েক সেকেন্ড কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’
নিজের ওপর থেকে আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়ার কারণ হলো সর্বশেষ কয়েকটি আন্তর্জাতিক আসরে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি মেলাতে না পারা। ‘এটা ঠিক, এশিয়ান গেমসে আমি সেরাটা মেলে ধরতে পারিনি। অনেকেই ভেবেছিলেন, আমার পারফরম্যান্স খারাপ হচ্ছে। আপনি জানেন, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে এর পরে আমি জাতীয় রেকর্ড গড়েছি। দেশের অ্যাথলেটে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে আমি যা করেছি, আগে কেউই তা করতে পারেননি। ইনডোর অ্যাথলেটিকসে স্বর্ণ জয়ের পর আমার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশাটা বেড়ে গেছে।’
যুক্তরাজ্যে কোচ স্টিভেন হাওয়ার্ড ও ফিজিও রবার্ট আলীর অধীনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ইমরানুর। কিন্তু প্যারিস অলিম্পিকে তারা কেউই তাঁর সঙ্গী নন। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু ম্যানেজার হিসেবে ইমরানের সঙ্গে থাকবেন।
কোচ ও ট্রেনার থাকলে ভালো হতো বলে মনে করেন ইমরানুর, ‘তারা শুধু আমার কোচ নন; আমার সঙ্গে আরও অনেককে তারা ট্রেনিং করান। এ কারণে আমার সঙ্গে তাদের যাওয়া সম্ভব নয়। তারা যেতে পারলে আমার জন্য ভালো হতো। প্রস্তুতি খুব ভালো হচ্ছে। সত্যি কথা বলতে, অলিম্পিকের জন্য আলাদা কোনো প্রস্তুতি নিচ্ছি না। আগে যেভাবে অনুশীলন করেছি, এখনও তাই। তবে মাত্রাটা একটু বেড়েছে। ট্রেনার ও কোচ বাড়তি কিছু কৌশল নিয়ে কাজ করছেন।’
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com