ঢাকা, ১৫ মে, ২০২৪
Banglar Alo

প্রথম নিয়োগ কার্যক্রমেই প্রশ্নবিদ্ধ উপাচার্য

Publish : 06:56 AM, 29 April 2024.
প্রথম নিয়োগ কার্যক্রমেই প্রশ্নবিদ্ধ উপাচার্য

প্রথম নিয়োগ কার্যক্রমেই প্রশ্নবিদ্ধ উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক :

অধ্যাপক মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান গত ৪ মার্চ। এর দুই দিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২টি পদে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। অধ্যাপক বদরুজ্জামান উপাচার্য হওয়ার পর এটিই ছিল তাঁর প্রথম নিয়োগ কার্যক্রম। কিন্তু এই কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সহযোগী অধ্যাপকের দুটি পদে উপাচার্যের আস্থাভাজন অভ্যন্তরীণ দুই সহকারী অধ্যাপকের নিয়োগ কৌশলে প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল।

এ প্রক্রিয়াকে বাধামুক্ত করতে সাক্ষাতের জন্য ডাকা হয়নি পিএইচডি ডিগ্রিধারী দুই আবেদনকারীকে। এতে বঞ্চিত এক প্রার্থী ক্ষুব্ধ হয়ে আইনি নোটিশ দিলে বেকায়দায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকাল রোববার আগের নিয়োগ বোর্ড বাতিল করে নতুন বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

শিক্ষক নিয়োগ পদে আবেদনের শেষ দিন ছিল ২১ মার্চ। কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি ২১টি বিভাগের ৩২টি পদের বিপরীতে কেবল রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দুটি সহযোগী অধ্যাপক পদে ৩ এপ্রিল নিয়োগ বোর্ড বসায়। এক দিনের সময় দিয়ে ১ এপ্রিল হোয়াটসঅ্যাপে সাক্ষাৎকারপত্র পাঠানো হয়। ওই পদে আবেদনকারী ছিলেন চারজন। ববির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুম সিকদারসহ দু’জনকে সাক্ষাতের জন্য ডেকে তাদের সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। এতে ক্ষুব্ধ আবেদনকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ ববি উপাচার্যকে আইনি নোটিশ দেন। তিনি নিয়োগ বোর্ড পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন। 

আবু সালেহ আইনি নোটিশে উল্লেখ করেন, চার আবেদনকারীর মধ্যে তিনি এবং ড. মাহবুবুর রহমানই কেবল পিএইচডি ডিগ্রিধারী। এ দু’জনের সাক্ষাৎকারপত্র ইস্যু না করে অস্বাভাবিক দ্রুততায় ৩ এপ্রিল নিয়োগ বোর্ড বসে। নিয়ম ভেঙে কেবল অভ্যন্তরীণ দুই প্রার্থীকে নিয়ে বোর্ড সভা হয়। সভায় নিয়োগের সুপারিশ করা হয় ববির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুম সিকদারসহ দু’জনকে। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রিধারী ছাড়া অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগ হয় না। তিনি মনে করেন, অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীকে কৌশলে নিয়োগ দিতেই পরিকল্পিতভাবে পিএইচডি ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারপত্র দেওয়া হয়নি।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অপর দুই শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান সোহেল রানা এবং মেহেদী হাসান সোহাগের পদ পুনর্বিন্যাস (আপগ্রেডেশন) হওয়ার তারিখ ছিল ৮ এপ্রিল। তাদের আপগ্রেডেশন থেকে বঞ্চিত করতে তড়িঘড়ি করে ৩ এপ্রিল বোর্ড গঠন করা হয়। 

রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম বলেন, আবেদনকারী আবু সালেহকে হোয়াটসঅ্যাপে সাক্ষাৎকারপত্র পাঠানো হয়েছিল। তিনি বোর্ডে হাজির হননি। আবু সালেহ পুনরায় বোর্ড বসানোর দাবি করে গত ২৩ এপ্রিল আইনি নোটিশ দেন। এর পরদিনই চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপাচার্য।

তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রোববার আগের নিয়োগ বোর্ড বাতিল করে নতুন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এ বোর্ডের সভা হবে আগামী ৫ মে।

উপাচার্য অধ্যাপক বদরুজ্জামান বলেন, নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় নতুন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সব প্রার্থীর সাক্ষাৎকারপত্রও নিশ্চিত করা হচ্ছে। 

Banglar Alo

সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড

৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০

নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]

©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com

Develop by _ DigitalSolutions.Ltd
শিরোনাম টটেনহ্যামকে হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে ম্যানসিটি শিরোনাম বাংলাদেশি ফুচকায় মজলেন ডোনাল্ড লু শিরোনাম নতুন করে প্রেমে পড়েছেন সুশান্তের প্রেমিকা শিরোনাম আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল পাকিস্তান শিরোনাম ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের শিরোনাম এবার স্বস্তিকার নায়ক হচ্ছেন শরিফুল রাজ