প্রতিবেশী বন্ধু হলে সীমান্তে গুলি কেন, প্রশ্ন ফারুকের
Publish : 10:35 AM, 27 April 2024.
প্রতিবেশী বন্ধু হলে সীমান্তে গুলি কেন, প্রশ্ন ফারুকের
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা ঘটনার জন্য সরকারের পররাষ্ট্রনীতিকে দায়ী করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সীমান্তে শুক্রবারও একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাই বলি ভারত, তুমি যদি বন্ধু হও, যদি আমাদের প্রিয় প্রতিবেশী বন্ধু হয়ে থাক, সীমান্তে গুলি কেন?
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এই নেতা বলেন, আমরা দাবি জানাব, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন, আগ্রাসন নীতি পরিহার করুন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ আপনাদের (ভারত) বন্ধ করতে হবে। কারণ আপনাদের দেশে গণতন্ত্ৰ থাকবে আর আমার দেশে গণতন্ত্র যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা আপনারা করবেন। বাংলাদেশের মানুষ তা কোনোদিনও গ্রহণ করতে পারে না।
বিএনপি নির্বাচিত সরকারকে হটানোর ষড়যন্ত্র করছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে ফারুক বলেন, বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় থাকার জন্য পদে পদে ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে সেদিন ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছেন আপনারাই। আপনাদের নেতা ১৯৭৫ সালে জাতীয় সংসদে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ১ মিনিটে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ষড়যন্ত্রের ইতিহাস আপনাদের, আমাদের নয়।
গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে ‘সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা ও ভারতীয় আগ্রাসনের’ প্রতিবাদে এই অবস্থান কর্মসূচি হয়। সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান টিপুর সঞ্চালনায় মানবন্ধনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, ওলামা দলের মাওলানা কাজী আবুল হোসেন, কৃষক দলের মফিজুর রহমান রিপন, গণতন্ত্র ফোরামের ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ অন্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।