রাজপথে ফের মুখোমুখি হচ্ছে বড় দুই দল
বিএনপিসহ বেশ কিছু বিরোধী দলের বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর রাজনৈতিক উত্তাপ অনেকটা স্থিমিত ছিল। তীব্র তাপপ্রবাহে দেশ যখন পুড়ছে তখন নতুন করে রাজনীতিতে দেখা দিয়েছে উত্তাপ। আবারও দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একই দিনে একই সময়ে কাছাকাছি স্থানে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এতে নতুন করে রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অনেকটা একতরফা নির্বাচনের পর রাজপথের প্রধান বিরোধী শক্তি বিএনপি তেমন কোনো বড় আন্দোলন কর্মসূচি দেয়নি। ভোটের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীতে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। ওইদিন বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণার এক দিন পর রবিবার (২১ এপ্রিল) একই দিন একই সময়ে কাছাকাছি স্থানে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটি আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে গুলিস্তানে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
দেশের প্রধান দুটি দলের আবারও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে জনমনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অতীতের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় অনেকে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন।
গত নির্বাচনের আগে প্রায় এক বছর রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ছিল বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। তবে তাদের ডাকা কর্মসূচির দিনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছে। বিরোধীরা এটাকে পাল্টা কর্মসূচি বললেও ক্ষমতাসীন দলের দাবি, জনগণের জানমাল রক্ষার জন্যই তাদের এই কর্মসূচি। যদিও এসব কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের ঘটনাও ঘটেছে। গত বছর ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
ঘোষণা দিয়েও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে না পারার হতাশা আছে বিএনপির মধ্যে। আগামী পাঁচ বছর অপেক্ষা ছাড়া দলটির সামনে আর কোনো পথ নেই। তবে টানা চার মেয়াদ ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে মাঠের কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকার কৌশল নিয়েছে। সরকারকে চাপে রাখতে ধারাবাহিক কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।
অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একচেটিয়া জয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করলেও বিরোধী দলের আন্দোলন এবং আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনটি পুরোপুরি স্বীকৃত না হওয়ায় অস্বস্তিতে রয়েছে। তবে বিরোধী দল যেন মাঠ দখল করতে না পারে সেজন্য তারা সক্রিয় থাকার কৌশল নিয়েছে। তাদের ভাষায়- বিএনপিকে তারা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেবে না। এজন্য বিএনপি যখনই কর্মসূচি দেবে তখনই তারাও ঘোষণা দিয়ে মাঠ দখলে রাখবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com