বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে ক্রিকেটারদের দৌড়ঝাঁপ
প্রায় দেড় যুগ আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে দেশের ক্রিকেট পাড়ি জমিয়েছে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরপর থেকে সব ধরনের ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা মিরপুরের মাঠে।
মাঝে ২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অবশ্য হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। দীর্ঘ দিন পর নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাসদের ফিটনেস মূল্যায়নে বেছে নেওয়া হয়েছে দেশের খেলাধুলার অনেক ইতিহাসের সাক্ষী এই মাঠটিকে।
৩৫ ক্রিকেটারের পদচারণায় শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরে এলো হারিয়ে যাওয়া ক্রিকেটীয় আবহ।
বর্তমান দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমের এই মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে জানা গেছে। সেটিও কোনো স্বীকৃত ক্রিকেটে নয়। ২০০৪ সালে ঘরোয়া একটি টুর্নামেন্ট খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বিকেএসপির হয়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলেছেন মুশফিক।
তীব্র গরমে ক্লান্তিকর ফিটনেস পরীক্ষার মাঝেও তাই ইতিহাসের অংশ এই মাঠে আসার রোমাঞ্চ ছুঁয়ে গেছে ক্রিকেটারদের। দৌড়ঝাঁপ শেষে অবসন্ন শরীরেই তরুণ এক পেসার বলছিলেন, ‘এই মাঠের কথা কত শুনেছি। কত ইতিহাস এখানে! আজকে এলাম। সত্যিই অন্যরকম অনুভূতি।’
ক্রিকেটারদের জন্য অবশ্য রোমাঞ্চের পাশাপাশি অভিজ্ঞতা বেশ কঠিনই ছিল। হালকা গা-গরমের পরই শুরু হয়ে যায় তাদের শারীরিক মূল্যায়নের পরীক্ষা। প্রথমে দুই দফায় ৪০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নেন ক্রিকেটাররা। জাতীয় দলে সদ্য যোগ দেওয়া স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ ন্যাথান কিলির সঙ্গে বিসিবির দুই ট্রেনার মীর ইফতি খায়রুল ইসলাম ও তুষার কান্তি হাওলাদার কাছ থেকে তাদের পর্যবেক্ষণ করেন। প্রয়োজনীয় তথ্য খাতায় টুকে রাখেন।
এরপর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে ১ হাজার ৬শ মিটার দৌড়ের পালা। নিশ্চিতভাবেই কঠিন হবে এই পর্ব, তা বুঝতে পেরেছিলেন মুশফিকুর রহিম। তাই তো দৌড় শুরুর আগে খুনসুটি করে সেরা দৌড়বিদের জন্য স্বর্ণ পদকের আবদার করে বসেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
সত্যিই সেই ব্যবস্থা থাকলে স্বর্ণ পদক পেতেন তানজিম হাসান ও নাহিদ রানা। দুই দলে ভাগ করে ৪*৪০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হন দুই তরুণ পেসার। দৌড় শেষ করে বিশ্বের দ্রুততম মানব উসাইন বোল্টের মতোই উদযাপন করেন নাহিদ। তবে এই দৌড়ে যে উত্তীর্ণ-অনুত্তীর্ণ বা প্রথম-দ্বিতীয় বলতে কিছু নেই, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে সেটিও মনে করিয়ে দেন ট্রেনার ইফতি।
মূলত টানা খেলার মধ্যে থাকায় জাতীয় দল ও আশপাশে থাকা ক্রিকেটারদের ফিটনেসের সবশেষ অবস্থা বোঝার জন্য এই মূল্যায়ন করতে চেয়েছিলেন জাতীয় দলের নতুন অস্ট্রেলিয়ান ট্রেনার কিলি। ৩৫ ক্রিকেটার অংশ নেন এ দিন। চোটের কারণে ছিলেন না সৌম্য সরকার ও তাইজুল ইসলাম। আইপিএলে ব্যস্ত মুস্তাফিজুর রহমান ও টানা খেলার ধকলের কারণে তাসকিন আহমেদ আসেননি এদিন।
সাধারণত মিরপুর স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসেই ক্রিকেটারদের ফিটনেসের নানান পরীক্ষা করা হয়। তবে এবার কিলির পরামর্শই বেছে নেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাককে। এছাড়া ভিন্ন একটি কারণও জানিয়েছেন ইফতি।
“অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বেছে নেওয়ার কারণ আসলে টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে টাইমিং দেখি, তাহলে বেশ কিছু পদ্ধতি আছে। আমরা আজ ১৬শ মিটার টাইম ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে যথাযথ টাইমিংটা পাব। কারণ ওভাবেই হিসেব করা হয়। এটা ক্রিকেটারদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো।”
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com