চেন্নাইয়ের বড় হারে ফের খরুচে মুস্তাফিজ
মাহেন্দ্র সিং ধোনি ও মইন আলির শেষের ঝড়ে লড়াইয়ের পুঁজি পেল চেন্নাই সুপার কিংস। তবে বোলিং তাদের ভালো হলো না একদমই। সতীর্থদের মতো দুই হাতে রান বিলিয়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমানও। তাদের সঙ্গী হলো বড় হার।
১৭৬ রানের পুঁজি নিয়ে লাক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে পাত্তাই পেল না চেন্নাই। আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের শুক্রবার লাক্ষ্ণৌ ৮ উইকেটে হারাল এক ওভার বাকি থাকতেই।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে খরুচে বোলিং করলেন মুস্তাফিজ। এবার ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে পেলেন একটি উইকেট। আগের ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে একটি উইকেট নিতে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৫৫ রান।
চলতি আসরে সব মিলিয়ে ৬ ম্যাচে মুস্তাফিজের উইকেট হলো ১১টি। তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে আর তিন জনের।
ঘরের মাঠে লাক্ষ্ণৌর জয়ের নায়ক এদিন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ৫৩ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৮২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক ৩১ রানে জীবন পেয়ে ৫৪ রান করেন ৪৩ বলে।
লাক্ষ্ণৌর রান তাড়ায় চতুর্থ ওভারে প্রথমবার বল হাতে পান মুস্তাফিজ। বাঁহাতি পেসারের প্রথম বলে এক রান নেন ডিক কক। পরের বল বোলারের মাথার ওপর দিয়ে চার মারেন রাহুল। শেষ চার বলে আসে ৩ রান।
সব মিলিয়ে নিজের প্রথম ওভারে ৮ রান দেন মুস্তাফিজ।
রাহুল ও ডি ককের দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৯ রান তুলে ফেলে লাক্ষ্ণৌ। পরের ওভারে রাহুল আইপিএলে তার ৩৫তম ফিফটি পূর্ণ করেন স্রেফ ৩১ বলে।
দ্বাদশ ওভারে বোলিংয়ে ফেরানো হয় মুস্তাফিজকে। তার প্রথম দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি রাহুল। পরের দুই বলে আসে এক রান করে। এরপর শর্ট ডেলিভারিতে চার মারেন ডি কক। শেষ বলে আরেকটি রানে এই ওভারে আসে ৭ রান।
১৫তম ওভারে আবার যখন বোলিংয়ে আসেন মুস্তাফিজ, লাক্ষ্ণৌর রান তখন বিনা উইকেটে ১২১।
ওয়াইড দিয়ে নিজের তৃতীয় ওভার শুরু করেন তিনি। প্রথম পাঁচ বলে বাউন্ডারি হজম করেন দুটি। তবে শেষ বলে ডি কককে ফিরিয়ে ১৩৪ রানের শুরুর জুটি ভাঙেন তিনিই। শর্ট বল কাট করার চেষ্টায় কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
এই ওভারে ১৩ রান দিয়ে উইকেটটি নেন মুস্তাফিজ। আর ইনিংসের ১৭তম আর কোটার শেষ ওভারে তিনটি বাউন্ডারিতে তিনি দেন ১৫ রান।
এরপর রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত ক্যাচে রাহুল বিদায় নিলেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন নিকোলাস পুরান ও মার্কাস স্টয়নিস।
ব্যাট হাতে চেন্নাইয়ের হয়ে জাদেজা সর্বোচ্চ ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ৪০ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায়। তবে দলটি ১৭৬ পর্যন্ত যেতে পারে মূলত মইন ও ধোনির নৈপুণ্যে।
৩ ছক্কায় ২০ বলে ৩০ রান করেন মইন। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৯ বলে অপরাজিত ২৮ রানের ইনিংস খেলেন ৪২ বছর বয়সী ধোনি। শেষ ৪ ওভারে চেন্নাই তোলে ৬৩ রান। তবে যথেষ্ট হলো না তা।
৭ ম্যাচে চেন্নাইয়ের তৃতীয় হার এটি। সমান ম্যাচে লাক্ষ্ণৌর এটি চতুর্থ জয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক
বাংলার আলো মিডিয়া লিমিটেড
৮৯ বিজয় নগর, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শরণি, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট (৫ম তলা)। ঢাকা-১০০০
নিউজঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪১ || [email protected] || বিজ্ঞাপণঃ +৮৮ ০১৩৩২৫২৮২৪৩ || [email protected]
©২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || banglaralo24.com